মিয়ানমার সফরে হিলারি ক্লিন্টন
১ ডিসেম্বর ২০১১গত ৫০ বছরে এই প্রথম কোন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিয়ানমার সফর করছেন৷ মিয়ানমারের জন্য তা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? মিয়ানমারের জন্য তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতদিন ধরে সামরিক জান্তার অধীনে আছে এই দেশ৷ তবে এই জান্তা দেশটাকে একটু একটু করে খুলে দিচ্ছে৷ সেই কারণেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে গেছেন সেখানে৷ গণতন্ত্রের কোন সুযোগ সেখানে ছিল না৷ তাই গণতন্ত্রের পথকে আরো প্রশস্ত করার ওপর জোর দিয়েছেন হিলারি৷ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি জানান তিনি৷ এছাড়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেসামরিক সংযোগ ছিন্ন করারওপরও জোর দিয়েছেন ক্লিন্টন৷ তিনি সংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি যে, রাজনৈতিক বন্দী সে যেখানেই থাকুন না কেন তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া উচিৎ৷''
মিয়ানমারে পৌঁছে হিলারি ক্লিনটন প্রথমেই প্রেসিডেন্ট থিয়েন সেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ নতুন রাজধানীতে সরকারের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারও সেসময় উপস্থিত ছিলেন৷ ক্লিন্টন জানান,‘‘অ্যামেরিকার সঙ্গে মিয়ানমারের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করা যায় কিনা আমি তা পর্যবেক্ষণ করতে এসেছি৷'' তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার সরকারকে সব ধরণের সাহায্য সহযোগিতা আমরা করবো তবে একটি শর্তে এবং তা হল – মিয়ানমারকে সবসময় গণতন্ত্রের পথ নিতে হবে৷ মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িত৷ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে কিনা ত নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না৷ তবে সবকিছু সবে শুরু হচ্ছে এবং ধীরে ধীরে এগোতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ এর পাশাপাশি তিনি জানান, অ্যামেরিকা দেখতে চায় মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক কেমন৷
সু চির সঙ্গে ডিনার
অং সান সু চির সঙ্গে আজ ডিনার হিলারি ক্লিন্টনের৷ সু চি'র রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র নিয়ান উইন জানান,‘‘অ্যামেরিকা থেকে যেসব সাহায্য ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা নিঃসন্দেহে দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরো গভীর করবে৷ আমি বিশ্বাস করি মিয়ানমার সরকার ভবিষ্যতে তার সংস্কার নীতিকে আরো প্রশস্ত করবে৷''
মিয়ানমায়ের ওপর চীনের প্রভাব কমানোর চেষ্টায় হিলারি মিয়ানমার সফর করছেন,এ রকম ধারণা পুরোপুরি উড়িয়ে দেন তিনি৷ তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে কোন ধরণের প্রতিযোগিতায় আমরা নেই, নামতেও চাই না৷ আমি এই সফরের মাধ্যমে মিয়ানমার এবং অ্যামেরিকার মধ্যে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই৷ চীনের সঙ্গে তার প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক যদি ভাল হয় তাহলে তা গোটা অঞ্চলের জন্যই একটি শুভ সংবাদ৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দু্ল্লাহ আল-ফারূক