গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতি, সু চি’র নির্বাচন করার সম্ভাবনা
১২ নভেম্বর ২০১১মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক অং সান এর সুযোগ্য কন্যা সু চি তাঁর বিগত ২২ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই কাটিয়েছেন কারাভ্যন্তরে৷ তবুও দমে যাওয়ার পাত্রী নন তিনি৷ দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে থাকা মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন ৬৬ বছর বয়সি সু চি৷ তাঁর সংগ্রাম ও আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরূপ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করেন৷ এছাড়া ১৯৯০ সালের নির্বাচনে বিজয় লাভ করেন জনপ্রিয় নেত্রী সু চি এবং তাঁর দল এনএলডি৷ কিন্তু সেসময় এনএলডি'র কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বরং উল্টো দমন-পীড়ন চালিয়ে কোণঠাসা করে রাখে তাদের৷
মাত্র এক বছর আগে কারাগার থেকে মুক্তি পান সু চি৷ কিন্তু গত নির্বাচনে অংশ নেয়নি তাঁর দল এনএলডি৷ ফলে দেশটির রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকেও এনএলডি'র নাম মুছে ফেলা হয়৷ এমন অবস্থায় মিয়ানমার সরকারের উপর আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপ বাড়তেই আছে৷ হাওয়াইতে অনুষ্ঠিত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সম্মেলনে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বললেন, মিয়ানমারকে সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আরো পদক্ষেপ নিতে হবে৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমরা সেখানে কারাবন্দী সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং সংখ্যালঘু অঞ্চলে সহিংসতা বন্ধের দাবি জানাই৷''
তবে সম্প্রতি মিয়ানমার সরকার মিত্র দেশ চীনের বিরুদ্ধে গিয়ে উত্তরাঞ্চলের একটি বিতর্কিত বাধ নির্মাণের কাজ স্থগিত করেছে৷ সু চি'র সাথে প্রত্যক্ষ আলোচনায় বসেছে এবং গত নির্বাচনের আলোচিত একটি নীতিমালায় সংস্কার সাধন করে৷ ফলে সরকারের এসব পদক্ষেপকে গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতি হিসেবে মনে করছে এনএলডি৷ তাই নতুন করে রাজনীতির মাঠে নামার ইঙ্গিত মিলেছে দলের ভেতর থেকেই৷ দলের মুখপাত্র নিয়ান উইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘এনএলডি আবারও রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করতে পারে এবং সু চি আসন্ন উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন৷'' দলীয় সূত্র অনুসারে, ইয়াঙ্গনের কোন আসনে প্রার্থী হতে পারেন মিয়ানমারের পূজনীয় ব্যক্তিত্ব ‘দ্য লেডি' অং সান সু চি৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়