1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের পরেও চ্যালেঞ্জের মুখে ব্রিটেন

২৮ জানুয়ারি ২০২০

৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর হলেও ব্রিটেনের সামনে আরও চ্যালেঞ্জ থেকে যাবে বলে মনে করিয়ে দিয়েছে ইইউ৷ বাণিজ্য, বিধিনিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বোঝাপড়ার জন্য হাতে সময় বড় কম৷

https://p.dw.com/p/3WtxV
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান ব্রেক্সিট মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Augstein

আগামী শুক্রবার ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে চলেছে৷ তবে ইইউ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হতে আরও সময় লাগবে৷ চলতি বছরের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শেষ করতে চান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ তবে মাত্র এগারো মাসের মধ্যে বাণিজ্যসহ অন্যান্য বিষয়ে ইইউ-র সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ঘোর সংশয় দেখা দিয়েছে৷ বিষয়টিকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে সোমবার উত্তর আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যে ইইউ কোনো অবস্থায় একক বাজারের অখণ্ডতা নিয়ে আপোশ করবে না৷ তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘নেভার, নেভার, নেভার৷'' তাঁর মতে, ব্রিটেন এতকাল ব্রেক্সিটের ব্যয়ভারকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় নি৷ এবার সেই বাস্তবের মুখোমুখি হবার সময় এসে গেছে৷ একক বাজার ও শুল্ক এলাকা ত্যাগ করলে তার পরিণাম ভোগ করতে হবে৷ উল্লেখ্য, ব্রিটেনের কিছু রাজনীতিক সম্প্রতি ব্রাসেলসের কাছ থেকে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নানারকম ছাড়ের আশা প্রকাশ করেছেন৷ বার্নিয়ে সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন৷

ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনার ক্ষেত্রে ইইউ যতটা সম্ভব নমনীয় হবার চেষ্টা করলেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আর আগের মতো অবাধ হতে পারবে না৷ বরিস জনসন চলতি বছরেই এই আলোচনা শেষ করার যে অঙ্গীকার করেছেন, সেই সময়সীমা মোটেই বাস্তবসম্মত নয় বলে ইইউ কর্মকর্তারা বার বার সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ তা সত্ত্বেও জনসন সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত না হলে কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেন ইইউ বাণিজ্য ও শুল্ক কাঠামো ছেড়ে বেরিয়ে যাবে৷

আরেকটি বিষয় নিয়েও ধোঁয়াশা কাটছে না৷ ব্রিটেন ভবিষ্যতে ইইউ-র বিধিনিয়ম কতটা মেনে চলতে প্রস্তুত, সে বিষয়ে জনসনের সরকার এখনো কোনো স্পষ্ট অবস্থান নেয় নি৷ বিশেষ করে ইইউ দেশগুলিতে রাষ্ট্রীয় সাহায্য ও সামাজিক মডেল চালু রয়েছে, সেই কাঠামো ত্যাগ করলে ব্রিটেনের পণ্য প্রবেশের পথে আরও বাধা সৃষ্টি হবে৷ যে কোনো পরিস্থিতিতেই উত্তর আয়ারল্যান্ড সীমান্তে কিছু নিয়ন্ত্রণ চালু করতে হবে বলে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার মনে করেন৷ বরিস জনসন অবশ্য এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷

ব্রেক্সিট-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর আয়ারল্যান্ডেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ সোমবার বার্নিয়ে সেখানে আয়ারল্যান্ট-পন্থি শিন ফেন ও ব্রিটেন-পন্থি ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ বার্নিয়ে এক ভাষণে বলেন, উত্তর আয়ারল্যান্ডেই ব্রেক্সিটের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যাবে৷ তিনি ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)