1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের পথে শেষ বড় বাধা দূর হলো

২৩ জানুয়ারি ২০২০

বুধবার ব্রিটেনের উচ্চ কক্ষ বিনা আপত্তিতে ব্রেক্সিট আইন অনুমোদন করায় চলতি মাসের শেষে ব্রেক্সিট কার্যকর করার পথ সুগম হলো৷ রানির স্বাক্ষর ও ইইউ পার্লামেন্টের সম্মতির পর ৩১শে জানুয়ারি ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করবে৷

https://p.dw.com/p/3Wfxb
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ছবি: Reuters/Reuters TV

অবশেষে সব বাধা দূর করে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করতে প্রস্তুত৷ বুধবার ব্রিটেনের সংসদের উচ্চ কক্ষ ব্রেক্সিট আইন অনুমোদন করার পর ব্রিটেন ৩১শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ থেকে বিদায় নিতে পারে৷ বৃহস্পতিবারই রানি এলিজাবেথ এই বিলে স্বাক্ষর করতে পারেন৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলেন, ‘‘কোনো কোনো সময়ে মনে হচ্ছিল, যে আমরা হয়তো কখনো ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছতে পারবো না৷ তবে আমরা সেই অসাধ্যসাধন করেছি৷''

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই হাউস অফ লর্ডস ব্রেক্সিট আইনের খসড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল৷ তারপর সংশোধনী সহ সেটি হাউস অফ কমন্সে ফেরত পাঠায়৷ কিন্তু বুধবার নিম্ন কক্ষ সেই সংশোধনী বাতিল করে খসড়াটি অপিরবর্তিত রেখে আবার উচ্চ কক্ষে পেশ করে৷ দ্বিতীয় বার আর আপত্তি না করে উচ্চ কক্ষ সেটি মেনে নেয়৷ ফলে ব্রেক্সিটের পর শিশু শরণার্থীদের সুরক্ষা ও ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে উচ্চ কক্ষের উদ্যোগ ব্যর্থ হলো৷

ব্রিটেনে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হবার এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শেষ পদক্ষেপ নিতে হবে৷ আগামী ২৯শে জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট আইন অনুমোদন করলে ব্রেক্সিট কার্যকর করার পথে আর কোনো বাধা থাকবে না৷

ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোটের পর প্রায় তিন বছর ধরে ব্রিটিশ রাজনীতির অচলাবস্থার কারণে ইইউ থেকে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া একের পর এক বাধাক মুখে পড়ছিল৷ টেরেসা মে হাল ছেড়ে বিদায় নেবার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন আগাম নির্বাচন ডেকে নিজের শক্তি বাড়িয়ে নিয়ে সংসদে যথেষ্ট সমর্থন নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন৷ গত ডিসেম্বরে নির্বাচনে বিপুল জয়ের পরেই জনসন অবিলম্বে সংসদে ব্রেক্সিট আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিলেন৷ বুধবার সেই উদ্যোগ সফল হলো৷ এই সাফল্যকে তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে৷

চলতি বছরের শেষেই ইইউ-র সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে বোঝাপড়ার বিষয়ে জনসন অত্যন্ত আশাবাদী৷ বুধবার তিনি আবার বলেন, যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাণিজ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে৷ আগামী মাসের শুরুতে এক ভাষণে জনসন এই চুক্তির রূপরেখা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ ক্যানাডার সঙ্গে ইইউ-র বাণিজ্য চুক্তির আদলেই তিনি ব্রিটেন-ইইউ চুক্তি সম্পর্কে সমঝোতায় আসতে চান৷ তবে ইইউ-র সঙ্গে বাণিজ্যের পথ মসৃণ রেখেও অ্যামেরিকা ও বিশ্বের অন্যান্য শক্তিশালী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের নীতি কতটা সফল হবে, সে বিষয়ে একাধিক মহলে সংশয় দেখা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে এত কম সময়ের মধ্যে বোঝাপড়া সম্পর্কে ইইউ মোটেই এতটা আশাবাদী নয়৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)