1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে ব্রিটেনে

৮ জানুয়ারি ২০২০

৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর করতে তৎপর বরিস জনসনের সরকার৷ সংসদে চুক্তি অনুমোদনের পাশাপাশি ইইউ-র সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় বসছে ব্রিটেন৷ ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে পরে আলোচনা হবে৷

https://p.dw.com/p/3VsS1
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ছবি: picture-alliance/PA Wire/D. Lipinski

৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর করার পথে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সামনে আর কোনো বাধা নেই৷ মঙ্গলবার থেকে সংসদের নিম্ন কক্ষে ইইউ-র সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তি নিয়ে তিন দিনের বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ তারপর সেই লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন করা হবে৷ ক্ষমতাসীন টোরি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে কোনো বাধার আশঙ্কা নেই৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করতে হবে৷

এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার লন্ডনে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি খুঁটিনাটি বিষয়গুলির নিষ্পত্তি করতে চান৷ ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়েও সেই আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন৷ ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনে জয়ের পর জনসন এই প্রথম ইইউ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন৷

ব্রেক্সিট কার্যকর হবার পর দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়টিও স্থির করতে হবে৷ চলতি বছর শেষ হবার আগেই সেই কঠিন কাজ শেষ করার জন্য চাপ রয়েছে৷ জনসনও এই সময়সীমার মধ্যে বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চান৷ কোনো কারণে ব্রিটেন ও ইইউ সমঝোতায় আসতে না পারলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের দুঃস্বপ্ন আবার বাস্তব হয়ে উঠবে৷ তবে বুধবারই এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না বলে ইইউ কমিশন জানিয়ে দিয়েছে৷ ৩১শে জানুয়ারি ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করার পরই সেই সংলাপ শুরু হবে৷

ব্রেক্সিট কার্যকর হবার পরেও ফেব্রুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্কে তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না৷ এই অন্তর্বর্তীকালীন পর্যায়ে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা স্থির করতে হবে৷ প্রধানমন্ত্রী জনসন জানিয়েছেন, ব্রেক্সিটের জন্য তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষার পর ব্রিটেন ও ইইউ-র নাগরিকরা ঠিক সময়ে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছেন৷

বরিস জনসন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রিটেন ভবিষ্যতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিধিনিয়ম মেনে চলতে চায় না৷ ইইউ-র অভ্যন্তরীণ বাজারের নাগাল পেতে হলে এগুলি মেনে চলতে হয়, নরওয়ে যেমনটা করে আসছে৷ তার বদলে তিনি অনেকটা ক্যানাডার সঙ্গে ইইউ-র মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আদলে বোঝাপড়া করতে চান৷ বিরোধীদের আশঙ্কা, মাত্র এগারো মাসের মধ্যে জনসন কোনো চুক্তিই চূড়ান্ত করতে পারবেন না৷ সে ক্ষেত্রে হয় আলোচনার সময়সীমা বাড়াতে হবে, অথবা কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ-র সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের পথ বেছে নিতে হবে৷ সে ক্ষেত্রে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সাধারণ বিধিনিয়ম কার্যকর হবে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)