অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ
৮ আগস্ট ২০১৮চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংঘাত কমার বদলে আরও বড় আকার ধারণ করতে চলেছে৷ আগামী ২৩শে আগস্ট ট্রাম্প প্রশাসন চীন থেকে প্রায় ১,৬০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের আমদানির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপাতে চলেছে৷ বিশেষ করে সেমিকন্ডাকটর আমদানির ক্ষেত্রে এই শুল্ক প্রয়োগ করা হবে৷ চীনও একই অঙ্কের শুল্ক চাপিয়ে পালটা পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যদিও তা কার্যকর করার কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয় নি৷ উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রায় ৩,৪০০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক চাপিয়েছে৷
এমন সংঘাত সত্ত্বেও জুলাই মাসে চীনের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে গেছে৷ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উদ্বৃত্তও রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে, যদিও জুন মাসের তুলনায় তা সামান্য কমে প্রায় ২,৮০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে৷ চীনের মুদ্রা ইউয়ানের পড়তি বিনিময় মূল্য এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে৷ তবে ওয়াশিংটনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপের ফলে আগামী কয়েক মাসে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ সেইসঙ্গে অ্যামেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ, মুদ্রার পড়তি বিনিময় মূল্যের পাশাপাশি চীনে অনেক কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে পড়ায় অর্থনীতি সার্বিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷
এমন অবস্থা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ ও হুমকির মুখে নতি স্বীকার করতে প্রস্তুত নয় চীন৷ সে দেশের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সম্প্রতি সরাসরি প্রেসিডেন্টের ট্রাম্প সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার পর আবার কিছুটা সুর নরম করেছে৷ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া-য় বুধবার প্রকাশিত এক সংবাদভাষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরাসরি উল্লেখ না করেই লেখা হয়েছে, যে বর্তমান ঝড়ঝাপটার মুখেও চীন অবিচল থাকবে৷ উলটে যারা চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, আখেরে তাদেরই ক্ষতি হবে৷
প্রকাশ্যে শক্তিশালী অবস্থান দেখালেও চীনের নেতৃত্ব কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷ শিনহুয়া-র সংবাদভাষ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, অতীতেও চীনের মানুষ কঠিন অবস্থা ও সংকটের সামনে অবিচল থেকে আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে গেছে৷ অর্থাৎ বর্তমান সংকটের কারণে চীনের মানুষের কিছু ক্ষতির আশঙ্কা করছে সে দেশের নেতৃত্ব৷