1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুক্তরাষ্ট্র-চীন ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’

২ এপ্রিল ২০১৮

বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে পুরোপুরি সংঘাত শুরু হয়ে গেছে৷ ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির আওতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর পর চীনও পালটা আঘাত হানলো৷

https://p.dw.com/p/2vMVC
ছবি: picture-alliance/dpa/Mark

শুরু হয়ে গেল বাণিজ্য যুদ্ধ৷ অ্যামেরিকা চীন থেকে অ্যালুমিনিয়াম কিছু পণ্য আমদানির উপর বাড়তি শুল্ক চাপানোর ঘোষণার পর চীনও পালটা পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার মূল্যের ১২৮টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অবিলম্বে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপাচ্ছে বেইজিং৷ এর মধ্যে শুকরের মাংস, ওয়াইন, কিছু ফলমূল, বাদাম ইত্যাদি খাদ্যপণ্য রয়েছে৷ রবিবার ঘোষণার পর সোমবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে এই পদক্ষেপ৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে আমদানির উপর একতরফাভাবে শুল্ক চাপাচ্ছেন ও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পথে চলেছেন, তার পরিণাম যে অ্যামেরিকাকেও ভোগ করতে হবে, মার্কিন প্রশাসন তা এখন টের পাচ্ছে৷

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ডাব্লিউটিও'র বিধান অনুযায়ী অ্যামেরিকা থেকে ১২০টি পণ্যের আমদানির উপর শুল্ক কমানোর কথা ছিল৷ কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সে দেশ সেই দায়বদ্ধতা আপাতত মুলতুবি রাখছে৷ চীন মনে করিয়ে দিয়েছে ডাব্লিউটিওর কাঠামোয় জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে এমন পদক্ষেপও সম্ভব৷ উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনও জাতীয় স্বার্থের দোহাই দিয়ে চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিল৷

পুরোদস্তুর বাণিজ্য যুদ্ধ এড়াতে চীন অ্যামেরিকার উদ্দেশ্যে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ প্রত্যাহার করার ডাক দিয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে ডাব্লিউটিওর বিধিনিয়মের আওতায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে৷ চীনের মতে, বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনীতির মধ্যে সহযোগিতাই সঠিক পথ৷

ট্রাম্প প্রশাসন চলতি সপ্তাহে আরও কয়েকটি চীনা পণ্যের আমদানির উপর শুল্ক ঘোষণার তোড়জোড় করছে৷ এই সিদ্ধান্তকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে চীনের নীতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে৷ ফলে অ্যামেরিকার বাজারে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার কোটি মূল্যের হাইটেক চীনা পণ্যের দাম বেড়ে যাবে৷

এমন সংঘাত গোটা বিশ্বের অর্থনীতির উপর মারাত্মক আঘাত হানতে পারে বলে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন৷ পরিস্থিতি এড়াতে আলোচনার সময়ও অত্যন্ত কম৷ এসব ক্ষেত্রে সংঘাত এড়াতে ৬০ দিনের সময় স্থির করা হয়৷ কিন্তু অ্যামেরিকা ও চীন পরস্পরের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করে এসেছে, এত কম সময়ে তার কারণ দূর করা অত্যন্ত কঠিন৷ তাছাড়া ওয়াশিংটন এখনো পর্যন্ত তর্জনগর্জন করলেও কোনো পদক্ষেপ কার্যকর করেনি৷ অন্যদিকে চীন অবিলম্বে বাড়তি শুল্ক চাপিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)