উত্তাল শাহবাগ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩গত রাতে মিরপুরের পলাশবাড়ি এলাকায় রাজীবের বাসার কাছ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ রাজীব দুপুরের পর শাহবাগের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান৷ রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়৷ রাজীবের বাবা ডা. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ভাবতেই পারছেন না যে তাঁর ছেলের কোন শত্রু থাকতে পারে৷
রাজীবের মামা খুররম জোয়র্দার জানান, স্থপতি রাজীব একজন ব্লগার৷ ‘থাবা বাবা' নামে তিনি ব্লগ লিখতেন৷ শাহবাগ আন্দোলনের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন৷ তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে অনেক আগে থেকেই সোচ্চার ছিলেন৷ এ নিয়ে ব্লগে লেখালেখির কারণে তাঁকে শাহবাগ আন্দোলন শুরুর পর হুমকিও দেয়া হয়৷
রাজীব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর এখন ফুঁসছে৷ এই ঘটনার পর তাঁরা আন্দোলন আরো বেগবান করার শপথ নিয়েছে৷ সকালে পালন করেছে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি৷ তাঁরা বলেছে, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং রাজীব হত্যার বিচারের দাবিতে তাঁরা ২৪ ঘণ্টাই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন৷
আন্দোলনকারীরা বলেছেন, রাজীবকে হত্যা করে তাদের দমানো যাবেনা৷ রাজীবের রক্তে এই আন্দোলন আরো বেগবান হবে৷ তাঁরা সোমবার জামায়াত-শিবিরের হরতাল প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন৷
বিকেলে শাহবাগে রাজীবের জানাজায় লাখো মানুষ অংশ নেন৷ জানাজা শেষে তাঁরা রাজীব হত্যার বদলা নিতে জামাত-শিবির মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন৷
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেলে রাজীবের বাসায় যান৷ তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের রাজীব হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন৷ তিনি রাজীবকে শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম শহীদ বলে অভিহিত করেন৷ আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, অপরাধীরা ছাড়া পাবেনা৷
পুলিশ জানায়, তারা সন্দেহভাজন ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে৷ রাজীবকে যারা হত্যা করেছে, তাদের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে৷