যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এখন প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে৷ আর এই দাবির পক্ষে গড়ে উঠেছে ব্যাপক জনমত৷ নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করলে তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে দেবেন৷ তবে নির্বাচন কমিশন নিজ উদ্যোগে নিবন্ধন বাতিল করলে দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লাগবে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জামায়াতের রাজনীতি সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়৷ কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্টের পর জিয়াউর রহমান তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেন৷ এখন সংবিধান সংশোধন করে অথবা নতুন কোন আইন করে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যায়৷ কারণ জামায়াত দলীয় ভাবে যুদ্ধাপরাধী৷ আর ট্রাইবুন্যালের রায়েও জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের কথা বলা হয়েছে৷
অন্যদিকে জামায়াত নিয়ন্ত্রিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি উঠেছে৷ তাদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ, এই সব প্রতিষ্ঠানের আয়ের একটি বড় অংশ জঙ্গি এবং মৌলবাদের পিছনে ব্যয় করে৷ অধ্যাপক হাফিজুর রহমান বলেন, সরকার দেশের প্রচলিত আইনেই এ সব প্রতিষ্ঠান জামায়াতের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে পারে৷
সরকারের একাধিক মন্ত্রী অবশ্য এরই মধ্যে বলেছেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ তবে কেউই কোন প্রক্রিয়ায় দলটি নিষিদ্ধ করা হবে তা স্পষ্ট করেন নি৷
এদিকে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে আজ শনিবার থেকে জমায়েত হবে একটি নির্দিষ্ট সময়ে৷ প্রতিদিন বিকেল ৩ টা থেকে রাত ১০টা৷ আয়োজকরা এ তথ্য জানিয়েছেন৷