1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধাক্কা খেলেন জনসন, আবার বাধার মুখে ব্রেক্সিট

২১ জানুয়ারি ২০২০

ব্রিটিশ সংসদের উচ্চ কক্ষ সংশোধনী চেয়ে ব্রেক্সিট বিল নিম্ন কক্ষে ফেরত পাঠানোয় ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর করার লক্ষ্যমাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়লো৷ ইইউ নাগরিকদের অধিকার না মানলে সরকার সমস্যায় পড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/3WX2t
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ছবি: Reuters/M. Dunham

গত ডিসেম্বর মাসে আগাম নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর সবকিছু বেশ মসৃণভাবেই এগোচ্ছিল৷ কিন্তু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সংসদের উচ্চ কক্ষে ব্রেক্সিট আইন অনুমোদন করাতে গিয়ে ধাক্কা খেলেন৷ সোমবার হাউস অফ লর্ডস ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিচ্ছেদ চুক্তির প্রতি সমর্থন জানায় নি৷ অনুমোদন না করার ক্ষমতা না থাকলেও আইনে সংশোধনী চেয়ে নিম্ন কক্ষে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন সংসদ সদস্যরা৷

চলতি মাসের শুরুতেই ব্রিটিশ সংসদের নিম্ন কক্ষ ব্রেক্সিট আইন অনুমোদন করেছে৷ ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর করতে জনসন তার আগেই সব আইনি প্রস্তুতি শেষ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ নিজস্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও হাউস অফ লর্ডসে বাধার আশঙ্কা করেন নি জনসন৷ অথচ ব্রেক্সিটের পরেও ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের সে দেশে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে বিরোধী উদারপন্থি দল সোমবার একটি প্রস্তাব পেশ করে৷ ২৭০ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে, ২২৯ জন বিপক্ষে ভোট দেন৷ এই উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত সফল হলে ইইউ নাগরিকদের আলাদা করে ব্রিটেনে থাকার অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে না৷ সরকারের প্রস্তাবিত ডিজিটাল তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির বদলে তাঁদের ব্রিটেনে বসবাসের অধিকারের প্রমাণ হিসেবে নথিপত্রও দিতে হবে৷ শিশু শরণার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতেও উচ্চ কক্ষ সোমবার সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে৷

উচ্চ কক্ষের এই কড়া মনোভাবের ফলে জনসন সরকারের পরিকল্পনা অনিশ্চয়তার মুখে পড়লো৷ নিম্ন কক্ষকে আইনের খসড়ায় পরিবর্তনের দাবি বিবেচনা করতে পারে৷ চলতি সপ্তাহে উচ্চ কক্ষে ফেরত পাঠালে নতুন করে আপত্তি দেখা দিতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে আরও বিলম্বের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর করার লক্ষ্যমাত্রাও প্রশ্নের মুখে পড়ছে৷ ব্রিটেনের সংসদের দুই কক্ষে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের পর ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও এই চুক্তি অনুমোদন করাতে হবে৷ মাত্র ১০ দিনের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করা কঠিন হবে৷

এদিকে ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বরিস জনসন আফ্রিকার নেতাদের সামনে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তুলে ধরেন৷ বিশেষ করে আফ্রিকার অভিবাসীদের জন্য সহজে ভিসা দেবার অঙ্গীকার করেন তিনি৷ ইইউ অভিবাসীদের অগ্রাধিকারের ব্যবস্থা শেষ হলে ব্রিটেন এ ক্ষেত্রে গোটা অভিবাসন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে চায়৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি, এএফপি)