ক্ষমতায় ফিরলেন বরিস জনসন
১৩ ডিসেম্বর ২০১৯যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ ব্রেক্সিটেই৷ নির্বাচনী প্রচারে বরিস স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তাঁর দল জিতলে সরকার ব্রেক্সিটেরপ্রস্তুতি শুরু করবে৷ অন্যদিকে, জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে লেবার পার্টি জানিয়েছিল, তারা ক্ষমতায় এলে দ্বিতীয়বার ব্রেক্সিটের জন্য গণভোটের ব্যবস্থা হবে৷ জনসনেই আস্থা রেখেছেন ভোটদাতারা৷
যুক্তরাজ্যের সময়ে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শেষ হয়েছে সাধারণ নির্বাচন৷ তার পর থেকেই একে একে আসতে শুরু করে বুথ ফেরত সমীক্ষা৷ তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, করবিনের লেবার পার্টির ক্ষমতায় আসার কার্যত কোনও সম্ভাবনা নেই৷ বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফিরছেন বরিস জনসন৷ বস্তুত, যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে শেষ এত বড় জয় পেয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে মার্গারেট থ্যাচার৷
বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ৩৬২টি পর্যন্ত আসন৷ যেখানে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজন ৩২৬ টি আসন৷ লেবার পার্টি পেতে পারে ১৯৯টি থেকে ২০৩টি আসন৷ লিবারাল ডেমোক্র্যাটস, এসএনপি, গ্রিন পার্টির মতো সবকটি দল মিলে একত্রে পেতে পারে ৭৫ থেকে ৮০টি আসন৷ এখনও পর্যন্ত ফলাফলের যা চিত্র, তাতে কনজারভেটিভ পার্টি জিতে গিয়েছে৩৬৩টি আসন৷ লেবার পেয়েছে ২০৩৷
নিজের কেন্দ্রে জিতলেও নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল দেখে লেবার নেতা করবিন দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন৷ তাঁর দলের বিপর্যয় এতটাই যে, একাধিকবার জেতা প্রার্থীরাও এবার পরাস্ত হয়েছেন কনজারভেটিভদের কাছে৷ যা থেকে স্পষ্ট, যুক্তরাজ্যের জনগণ ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্তেই অনড়৷
১০ ডাউনিং স্ট্রিটের খবর, আগামী সোমবার বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায় সামান্য পরিবর্তন হতে পারে৷ আর সাংসদদের সামনে ব্রেক্সিট বিল পেশ করা হবে আগামী শুক্রবার৷
গত পাঁচ বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচন হল যুক্তরাজ্যে৷ প্রতিবারেই নির্বাচনের প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে ব্রেক্সিট৷ এ বারের নির্বাচনে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও প্রচারের মূল বিষয় ছিল ব্রেক্সিটই৷ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে আর আলোচনার অবকাশ থাকল না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এ বার পাকাপাকি ভাবে যুক্তরাজ্যের বিদায় নিশ্চিত হল৷
এসজি/জিএইচ (ডিডব্লিউ, বিবিসি, রয়টার্স)