হুইটনি হিউস্টন’এর মৃত্যু
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২৮০ এবং ৯০'এর দশকে হুইটনি হিউস্টন ছিলেন বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় মহিলা সংগীত শিল্পী৷ ১৯৮৫ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘হুইটনি হিউস্টন' তাঁকে এনে দেয় বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এবং তাঁর উঁচু সুরেলা কণ্ঠে ‘ব্যালেড' আঙ্গিকের গান জয় করে নেয় লক্ষ মানুষের হৃদয়৷
‘হুইটনি হিউস্টন' অ্যালবামের পর থেকে সংগীত জগতে তাঁর সাফল্য নজিরবিহীন৷ তিনি হয়ে ওঠেন পপ-সৌল সংগীতের প্রতীক৷ প্রায় তিন দশকের সংগীত জীবনে সব মিলিয়ে প্রায় ৪১৫টি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি৷ এ অবধি আর কোনো মহিলা সংগীত শিল্পী এতো পুরস্কারে ভূষিত হতে পারেননি৷ আর তাই, ২০০৯ সালে ‘গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড'-এ স্থান পেয়েছে তাঁর নাম৷ স্বীকৃতি ছাড়াও তিনি অসাধারণ বানিজ্যিক সাফল্যও পেয়েছেন৷ অন্ততপক্ষে ১৭০ মিলিয়ন বা ১৭ কোটি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে তাঁর৷
হুইটনি হিউস্টন'এর জন্ম ১৯৬৩ সালে, অ্যামেরিকার নিউ জ্যার্সির নেওয়ার্ক শহরে, এক সংগীত পরিবারে৷ মা সিসি হিউস্টন ‘গস্পেল' সংগীত শিল্পী৷ খালা বিখ্যাত সৌল সংগীত শিল্পী আরেথা ফ্র্যঙ্কলিন৷ ডায়ানা ও ডি ডি ওয়ারউইক তাঁর খালাত বোন৷ ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছে সংগীতে তালিম নেন তিনি৷ ১১ বছর বয়স থেকে মায়ের সাথে বিভিন্ন গস্পেল সংগীতানুষ্ঠানে যোগ দেন হিউস্টন৷ ১৫ বছর বয়সে বিভিন্ন বিখ্যাত সংগীত শিল্পীর নেপথ্য কণ্ঠ শিল্পী হিসেবে শুরু হয় তাঁর সংগীত জীবন৷ সেই সাথে মডেল হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেন হুইটনি৷ ১৯৮৩ সালে চুক্তিবদ্ধ হোন এরিস্টা রেকর্ড কোম্পানির সাথে৷ ১৯৮৫ সালে বের হয় তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘হুইটনি হিউস্টন'৷ বিক্রি হয় প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ কপি৷
গানের পাশাপাশি বেশ কিছু ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও স্বীকৃতি পেয়েছেন সাড়া জাগানো চলচ্চিত্র ‘দ্য বডিগার্ড'-এর মধ্যে দিয়ে৷ ১৯৯২ সালে নির্মিত এই ছবির আবহসংগীত ‘গ্র্যামি' পুরস্কারে ভূষিত হয়৷ ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৮ বছর বয়সে, গ্র্যামি পুরস্কার অনুষ্ঠানের ঠিক এক দিন আগে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হোটেল ঘরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সংগীত জগতের অসাধারণ প্রতিভা হুইটনি হিউস্টন৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ