1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামাস এবং ফাতাহ গোষ্ঠীর মধ্যে ‘ঐকমত্য’

২৪ নভেম্বর ২০১১

অবশেষে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে এক সুরে কথা বলার ঘোষণা দিয়েছে ফাতাহ এবং হামাস গোষ্ঠী৷ দীর্ঘকালের রাজনৈতিক বৈরিতা কাটিয়ে কায়রোতে মুখোমুখি হন দুই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা৷ ইসরায়েল এবং পশ্চিমা সমাজ অবশ্য এই ঐকমত্যে সন্তুষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/13Gbs
মুখোমুখি হামাস এবং ফাতাহ প্রধানছবি: Picture-Alliance/dpa

প্যালেস্টাইনের শীর্ষ নেতা মাহমুদ আব্বাস এবং হামাস নেতা খালেদ মেশাল ফিলিস্তিনিদের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন৷ মিশরের রাজধানী কায়রোতে দুই পক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে কয়েকঘণ্টা আলোচনার পর দুই নেতা নিজেদের মধ্যকার ভেদাভেদ সরিয়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উম্মোচনের কথা বলেন৷ মেশাল বলেন, আমরা আমাদের জনগণ এবং আরব ও ইসলামী বিশ্বকে জানাতে চাই, প্যালেস্টাইন জাতির জন্য আমরা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, আমাদের মধ্যে আর কোন মতপার্থক্য অবশিষ্ট নেই৷ আমরা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিতে সম্মত হয়েছি৷

গত মে মাসেই অবশ্য মতানৈক্য দূর করতে সমঝোতায় পৌঁছান ফাতাহ এবং হামাস গোষ্ঠীর প্রধানরা৷ এরপর বৃহস্পতিবার কায়রোতে আবারও মুখোমুখি আলোচনায় বসেন দুই নেতা৷ ফাতাহ কর্মকর্তা আজম আল আহমেদ বলেন, কায়রোর আলোচনায় মূলত যৌথভাবে কার্য পরিচালনার রূপরেখা নিয়ে কথা হয়েছে৷ এই যৌথ উদ্যোগ কিভাবে প্রয়োগ করা হবে তা নিয়েও বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন নেতারা৷

Palestinien Abkommen zwischen Hamas und Fatah Flash-Galerie
ছবি: Picture-Alliance/dpa

আজম জানান, পশ্চিম তীর এবং গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে সাময়িক অস্ত্র বিরতি প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন দুই নেতা৷

ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যকার এই আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্তরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষ সংযুক্ত প্যালেস্টাইন গঠনের কর্মকৌশল, অন্তর্বর্তী সরকার, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন এর সংস্কারসহ নির্বাচনের আসন্ন দিনতারিখ ঘোষণার ব্যাপারে মনোযোগী হচ্ছে৷

বলাবাহুল্য, হামাস এবং ফাতাহ'র মধ্যে দীর্ঘকাল ধরেই রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল৷ ২০০৭ সালে দুই পক্ষের মধ্যকার এই বিরোধ সহিংস রূপ নেয়৷

এদিকে, হামাস এবং ফাতাহ'র মধ্যকার এই সমঝোতার সমালোচনা করেছে ইসরায়েল৷ সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমি আশা করেছিলাম আব্বাস হামাসের সঙ্গে মীমাংসার উদ্যোগ বন্ধ রাখবে৷

ওয়াশিংটন এবং ব্রাসেলসও এই প্রসঙ্গে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না হামাস ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, সহিংসতার পথ থেকে সরে আসছে এবং পূর্বের ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন নীতিতে সম্মত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত হামাসের সম্পৃক্ততায় গঠিত কোন সরকারের সঙ্গে কাজ করবে না তারা৷

ওয়াশিংটন এবং ব্রাসেলসের এই নীতিকে নেতিবাচক আখ্যা দিয়ে হামাস কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশক বলেছেন, এই অবস্থান দ্বিধাবিভক্ত প্যালেস্টাইনের জনগণের উপর তাদের খবরদারি বজায় রাখার মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ৷

উল্লেখ্য, হামাস এবং ফাতাহ যৌথভাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সম্মত হলেও এই সরকারের শীর্ষ নেতা কে হবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি৷ এক্ষেত্রে দুই পক্ষ কতটা ছাড় দেবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়ে গেছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য