যুদ্ধ বাধিয়ে কারো উপকার হয় না: ড. কামাল হোসেন
৩ নভেম্বর ২০১১জাতিসংঘের পূর্ণ মর্যাদার সদস্যপদের জন্য আবেদন জানিয়েছে প্যালেস্টাইন৷ ইতিমধ্যে জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো'র সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ফিলিস্তিনিরা৷ কূটনৈতিক সাফল্য সত্ত্বেও মাহমুদ আব্বাসের প্রশাসনের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে ইসরায়েল ও মার্কিন প্রশাসন৷ মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন৷ তিনি মনে করেন, বহুকাল আগেই এই সংকট নিরসন হওয়া উচিত ছিল৷ আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিলে আজ সংকট মিটে যেতে পারতো৷ কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে রাজনৈতিক প্রভাব ও চাপ মানুষ ও সরকারকে আইনের পথ থেকে সরিয়ে দেয়৷ ফলে একদিকে ফিলিস্তিনি জনগণের চরম দুর্দশা, অন্যদিকে ইসরায়েলের মানুষের নিরাপত্তাহীনতা কাটছে না৷
ড. কামাল হোসেন মনে করেন, জাতিসংঘের যে সিদ্ধান্তগুলি গ্রহণ করা হয়ে গেছে, সেগুলি কার্যকর করতে পারলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে৷ আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সেখানে কিছু রদবদলও সম্ভব৷ কিন্তু ‘পাওয়ার পলিটিক্স'এর মাধ্যমে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখে কোনো লাভ হবে না৷ তাতে সকলেরই ক্ষতি হবে৷ ইসরায়েলের সরকারগুলি মনে করে, সাময়িকভাবে তারা সফল হচ্ছে, অথচ দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গীতে দুই পক্ষেরই ক্ষতি হচ্ছে৷ অনেক কাল আগে থেকেই ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে আজ এমন চরম পরিস্থিতি সামলানোর প্রয়োজন হতো না৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক