সু চি’র বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা?
২০ মার্চ ২০১৮‘ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন'-এর আওতায় সু চি'র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনতে আগ্রহী ঐ আইনজীবীরা৷ অস্ট্রেলিয়া ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন নীতির অনুমোদন দিয়েছে৷ এই নীতি বলছে, দেশের ভেতর অপরাধের ঘটনা না ঘটলেও সেই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে৷ যেমন গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে কোনো দেশের নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব৷ অস্ট্রেলিয়া যেহেতু ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশনের অনুমোদন দিয়েছে, তাই রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা সে দেশে না ঘটলেও সু চি'র বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ রয়েছে৷ তবে বিচারকাজ শুরুর জন্য দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি পেতে হবে৷ সেই অনুমতি পাওয়া যাবে কিনা তা এই সপ্তাহে জানা যেতে পারে৷
মামলার আবেদনে ঐ চার আইনজীবী বলেছেন, ‘‘অভিযোগ আছে, সু চি তাঁর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ এভাবে সু চি রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করাতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীকে অনুমতি দিয়েছেন৷''
অস্ট্রেলিয়া-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সু চি'র অস্ট্রেলিয়া সফরকে ঘিরে এই উদ্যোগ নিয়েছেন ঐ আইনজীবীরা৷ শনি ও রবিবার ঐ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সেই সময় সু চি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দের সহায়তা চান বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল৷
‘মিয়ানমার সবচেয়ে খারাপ'
গত ছয় মাসে ত্রাণ বিতরণ পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে এমন দেশের তালিকায় সবার উপরে আছে মিয়ানমার৷ জেনেভাভিত্তিক গবেষণা সংস্থা এসিএপিএস ৩৭টি দেশের উপর গবেষণা করে এই তথ্য জানিয়েছে৷ ত্রাণকর্মীদের উপর হামলা, ত্রাণ নিতে আসা মানুষকে বাধা দেয়াসহ নয়টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা প্রকাশ করেছে এসিএপিএস৷ এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘‘মিয়ানমারে ত্রাণ প্রবেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে৷ রোহিঙ্গাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর বিষয়টি খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে৷''
জেডএইচ/এসিবি (গার্ডিয়ান, থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন, এপি)