1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সির্ত দখলের তুমুল লড়াই

৮ অক্টোবর ২০১১

লিবিয়ার বিতাড়িত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্ত দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিদ্রোহী সেনারা৷ গাদ্দাফিপন্থীদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াইয়ের খবর জানাচ্ছে বার্তাসংস্থাগুলো৷ সংঘর্ষের মুখে শহর ছাড়ছে সাধারণ মানুষ৷

https://p.dw.com/p/12oGj
ছবি: dapd

শহর দখলের লড়াই

লিবিয়ার বিদ্রোহীরা সির্ত শহর দখলের চূড়ান্ত লড়াই শুরু করে শুক্রবার৷ ইতিমধ্যে শহরটির অনেকাংশে তারা প্রবেশ করেছে, বিশেষ করে শহরের রাস্তাগুলো দখল করে নিচ্ছে বিদ্রোহী বাহিনী৷ তবে প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে গাদ্দাফিপন্থী সেনারাও৷ ফলে যত সহজে সির্ত দখল সম্ভব হবে মনে করা হয়েছিল, ততটা সহজ আসলে হচ্ছে না৷ সেই শহরে গোলাবর্ষণের খবর জানাচ্ছে বার্তাসংস্থাগুলো৷ শহরের কেন্দ্রের দিকে ট্যাংক ব্যবহার করে অভিযান চালাচ্ছে ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল বা এনটিসি সমর্থিত বিদ্রোহীরা৷ এনটিসি কমিশনার নাসের আবু জিয়ান শনিবার দাবি করেছেন, আমরা গাদ্দাফিপন্থী সেনাদেরকে শহরের কেন্দ্রে মাত্র কয়েক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ঘিরে ফেলেছি৷

Flash-Galerie Kämpfe um Sirte Libyen
লড়াই অব্যাহতছবি: picture alliance / dpa

বাধা সির্ত

এনটিসি বাহিনী কার্যত লিবিয়ার প্রায় সব অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে, এবং সেটা দুই মাস আগেই৷ তবে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে এখনো আটক সম্ভব হয়নি, তিনি কোথায় আছেন সেটাও অজানা৷ গাদ্দাফি পরিবারের অনেক সদস্য লিবিয়া ত্যাগ করেছে বলে জানা গেলেও, গাদ্দাফির কোন খবর নেই৷ এমতাবস্থায় সির্ত গাদ্দাফিপন্থীদের দখলে থাকায়, সেদেশের ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারছে না৷ সেই সঙ্গে লিবিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনতারিখ ঘোষণাও সম্ভব হবে না, সির্ত এর পতনের আগে৷ বনি ওয়ালিদ নামক আরেকটি এলাকাও অবশ্য গাদ্দাফিপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে আছে৷ তবে সেটাকে বর্তমানে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না এনটিসি৷  

শহরের অবস্থা

এসটিসি'র তথ্যমন্ত্রী মাহমুদ সোহামান দাবি করেছেন, গাদ্দাফির সেনারা সির্ত শহরের বাসিন্দাদের জিম্মি করে রেখেছে৷ এছাড়া সেখানকার হাসপাতালগুলোতে আহতের ভিড় বাড়ছে৷ সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শুক্রবার কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং ১৯০ জন আহত হয়েছে৷ হতাহতদের অধিকাংশই মাথায়, ঘাড়ে কিংবা বুকে গুলিবিদ্ধ হয়েছে৷ এছাড়া, সির্ত শহর ছেড়েও চলে গেছে অনেক মানুষ৷ শহর থেকে বের হওয়ার নিরাপত্তা চৌকির সামনে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে৷ অবশ্য এখনো কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে শহরের মধ্যে অবস্থান করছেন৷ সবমিলিয়ে এক অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে সির্ত শহরে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য