লিবিয়ার সির্ত শহর ছাড়ছেন বাসিন্দারা
২ অক্টোবর ২০১১সির্ত এর পরিস্থিতি
লিবিয়ার ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির জন্মস্থান সির্ত৷ রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেলেও, এখনো সির্তে প্রতিরোধ অব্যাহত রেখেছে গাদ্দাফিপন্থী সেনারা৷ তাদের হটাতে ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল বা এনটিসি সমর্থিত বিদ্রোহীরা হামলা অব্যাহত রেখেছে৷ একইসঙ্গে বিমান হামলা চালাচ্ছে ন্যাটো৷ এই পরিস্থিতিতে বেশ বিপাকে পড়েছেন সির্ত এর বাসিন্দারা৷ তাই, শহর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় মরিয়ার তারা৷ শহরত্যাগীদের দাবি, সেখানে এখন খুব কমই খাদ্য আছে৷ আর বিদ্যুৎ, পানি একেবারেই নেই৷ শহরত্যাগী আহমেদ হোসেন বার্তাসংস্থা এপিকে জানান, গোলাবর্ষণের কারণে আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না৷ আমাদের তাই শহর ছাড়তে হচ্ছে৷ আলী নামক অপর এক সির্তবাসীর মন্তব্য, আমরা ন্যাটোর বোমা হামলা আর বিদ্রোহীদের গোলাবর্ষণের মধ্যে পড়ে গেছি৷ এএফপিকে তিনি বলেন, বিশেষ করে ন্যাটো এলোপাথাড়িভাবে বোমা ছুঁড়ছে এবং সেগুলো প্রায়ই বেসামরিক ভবনে আঘাত হানছে৷
রেডক্রস-এর উদ্বেগ
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস-এর দল সির্ত এর কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷ তাদের মতে, সেখানে জরুরী চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন৷ রেড ক্রস টিম জানিয়েছে, এনটিসি দুইদিনের যুদ্ধবিরতির কথা বললেও সির্তে সংঘর্ষ চলছে৷ শনিবার রাতে শহরত্যাগের সময় মেশিনগানের গুলিতে প্রাণ হারায় দুই শিশু এবং তাদের পিতামাতা৷ কাদের গুলিতে তারা নিহত হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি৷ জেনেভা নির্ভর রেড ক্রস এর হিসেবে অনুযায়ী, প্রায় দশ হাজার মানুষ শহর ত্যাগ করেছে৷ এদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শহরের বাইরে মরুভূমিতে অবস্থান করছে৷ শনিবার উভয় পক্ষের সম্মতি নিয়ে সির্ত এর সিমা হাসপাতাল পরিদর্শনে যায় রেড ক্রস দল৷ এই দলের দাবি, শহরের হাসপাতালে অক্সিজেন এবং জ্বালানির অভাবে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে৷
ন্যাটোর উদ্বেগ
লিবিয়ায় প্রায় ১০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র হারিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছে ন্যাটো৷ সেদেশের সরকার পতনের পর এসব ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে না৷ জার্মান সাপ্তাহিক ডেয়ার স্পিগেল এসংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে৷ এসব ক্ষেপণাস্ত্র বিভিন্ন দেশের বিদ্রোহী, সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছাতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন ন্যাটোর কমান্ডাররা৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম