লিবিয়ার আবু সালিম কারাগারের কাছে গণকবর, ১২৭০টি মৃতদেহের সন্ধান
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১সিরতে
বিভিন্ন ধরণের খবর আসছে সিরতে থেকে৷ এনটিসি যোদ্ধারা শনিবার সিরতে শহরে ঢুকে পড়েছিলেন৷ কিন্তু এরপর ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়েন তারা৷ গাদ্দাফি সমর্থিত সৈন্যরা সহজে শহরের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে রাজি নয়৷ তারা ক্রমাগত হামলা করে যাচ্ছে এনটিসি যোদ্ধাদের উপর৷ ফলে এক পর্যায়ে সিরতে থেকে সরে আসে তারা৷ এছাড়া স্নাইপাররা বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে গোপনে এনটিসি যোদ্ধাদের উপর হামলা করছে৷ ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটছে অনেক৷ শনিবার এভাবে নয়জন যোদ্ধা মারা গেছে বলে জানা গেছে৷ তবে এনটিসি বলছে তারা প্রতিরোধের মুখে নয়, কৌশলগত কারণে সিরতে থেকে সরে এসেছে৷ এদিকে ন্যাটো গত দুদিন ধরে সিরতেতে গাদ্দাফির সেনাদের গাড়ি ও কিছু স্থাপনায় হামলা করেছে বলে জানিয়েছে৷
বানি ওয়ালিদ
সেখানেও ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে গাদ্দাফির সৈন্যরা৷ গত ২৪ ঘন্টায় সেখানে ৩০ জন এনটিসি সৈন্য মারা গেছে বলে জানা গেছে৷ এদিকে আলজেরিয়া সীমান্তে যে মরুভূমি রয়েছে সেখানেও নাকি আজ সকালে গাদ্দাফির সেনারা এনটিসির যোদ্ধাদের উপর হামলা করেছে৷ এতে পাঁচ যোদ্ধা মারাও গেছে৷ অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গাদ্দাফির সেনারা এখনো হামলা করে যাচ্ছে৷
গণকবর
লিবিয়ার বর্তমান শাসক এনটিসি এই খবরটি দিয়েছে৷ ঐ কবরে ১২৭০ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে তারা৷ ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৯৬ সালে ঐ কারাগারে যে গণহত্যা চালানো হয়েছিল এগুলো সেসময়কার মৃতদেহ৷ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সবার পরিচয় খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার ওসমান আব্দুল জলিল৷ এ জন্য কয়েক বছর লেগে যেতে পারে বলে জানান তিনি৷ উল্লেখ্য, গাদ্দাফির বিরুদ্ধবাদীদের ঐ কারাগারে বন্দি করে নির্যাতন করা হতো৷
জার্মান দূতাবাস
জার্মানি আবারও ত্রিপোলিতে তার দূতাবাস চালু করেছে৷ গাদ্দাফি বিরোধী বিক্ষোভের মুখে নিরাপত্তার কারণে মার্চের তিন তারিখে দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷ এখন আবার স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি৷ জার্মান রাষ্ট্রদূত ইতিমধ্যে ত্রিপোলিতে গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম