সিরিয়ায় ‘নো-ফ্লাই জোন’ চায় জার্মানি
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬জাতিসংঘের সাধারণ সচিব বান কি-মুন ঘোষণা করেছেন যে, বিমান হানার ‘‘জোরালো'' নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে৷ অপরদিকে বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে ওয়াশিংটন ও মস্কো পরস্পরের উপর দোষারোপ করেছে৷
রাশিয়া বলছে, বিমান হানার সময় ঐ এলাকায় একটি মার্কিন ড্রোন আকাশে ছিল৷ ওদিকে মার্কিন তরফ থেকে ইতিপূর্বেই বলা হয়েছে যে, আক্রমণের সময় দু'টি রুশি সুখয় এসইউ-২৪ জঙ্গিজেটকে আকাশে দেখা গেছে৷ অবশ্যই কোনো পক্ষ এই আক্রমণের দায়িত্ব নিতে রাজি নয়৷
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সিরিয়া মদত গোষ্ঠী বা আইএসএসজি-র একটি নতুন অধিবেশন বসছে নিউ ইয়র্কে৷ মঙ্গলবারেও গোষ্ঠী ঘণ্টাখানেকের জন্য মিলিত হয়েছিল, যদিও তা-তে বিশেষ কোনো প্রগতি অর্জিত হয়নি৷
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দাবি করেন যে, রাশিয়ার উচিত সিরিয়াকে তার বিমানবাহিনী ‘গ্রাউন্ড' করতে বাধ্য করা৷ কেরি আরো বলেন যে, রাশিয়া ও তার সিরীয় মিত্র আদৌ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে আগ্রহী কিনা, সে বিষয়ে তাঁর ‘‘গভীর সন্দেহ'' আছে৷
মস্কো ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে, রাশিয়ার অন্যতম বিমানবাহী পোত ‘অ্যাডমিরাল কুজনেৎসভ'-কে ভূমধ্যসাগরে পাঠানো হচ্ছে৷ নিরাপত্তা পরিষদে লাভরভ ঘোষণা করেন যে, সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর তরফ থেকে ‘‘আর কোনো একতরফা বিরতি'' হবে না৷ তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইসিস ও সাবেক নুসরা ফ্রন্ট চলতি যুদ্ধবিরতিতে সংশ্লিষ্ট নয়, কিন্তু তাদের পাশাপাশি আরো অনেক গোষ্ঠী যুদ্ধ চালাচ্ছে, বলে মস্কোর অভিযোগ৷ জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাশার জাফারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের তরফে একটি ‘‘নোংরা প্রচারণা যুদ্ধের'' কথা বলেছেন৷
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার নিউ ইয়র্কে বুধবার সন্ধ্যায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন যে, ‘‘পরিস্থিতি ছুরির ফলার ওপর রয়েছে'', যার অর্থ, পরিস্থিতি যে কোনো দিকে মোড় নিতে পারে৷ কাজেই তাঁর প্রস্তাব হলো ‘‘সিরিয়ার আকাশে যাবতীয় সামরিক বিমান চলাচল সাময়িকভাবে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হোক''৷ এর ফলে বেসামরিক নাগরিকদের কাছে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো নতুন করে শুরু হতে পারবে, বলে স্টাইনমায়ার মন্তব্য করেন৷ সোমবারের বিমান হানার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্রাণসাহায্য পাঠানো বন্ধ করলেও, জাতিসংঘ আবার মানবিক সরবরাহ চালু করতে প্রস্তুত, বলে নিউ ইয়র্ক থেকে ঘোষণা করা হয়েছে৷
এসি/ডিজি (ডিপিএ, এপি, এএফপি)