সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি শুরু হচ্ছে?
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে সব পক্ষই যতদূর সম্ভব, সেই সশস্ত্র যুদ্ধ থেকেই তাদের কৌশলগত সুবিধা-অসুবিধাগুলো বাড়ানো-কমানোর প্রচেষ্টায় আকুল৷ ফলে সাময়িকভাবে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে৷
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ শনিবার জেনেভায় যে চুক্তি সম্পর্কে একমত হন, তার শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি প্রথমে ৪৮ ঘণ্টার জন্য বলবৎ হবে ও পরে তার মেয়াদ বাড়ানো হবে৷ সিরিয়া সরকার আইএস গোষ্ঠী ও জভাৎ ফতেহ আল-শাম গোষ্ঠী, যারা ইতিপূর্বে নুসরা ফ্রন্ট হিসেবে পরিচিত ছিল, তাদের উপর আরো সাত দিন আক্রমণ চালিয়ে যেতে পারবেন; তারপর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সে দায়িত্ব নেবে৷ সিরিয়া সরকার, ইরান ও হেজবোল্লাহ চুক্তির শর্তাবলী মেনে নিয়েছে৷ কিন্তু অপর অনেকেই এই বন্দোবস্ত সম্পর্কে সন্দিহান৷
আহরার আল-শাম সিরিয়ার সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে গণ্য৷ তারা আবার জভাৎ ফতেহ আল-শাম গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ৷ জভাৎ ফতেহ আল-শাম গোষ্ঠী গত আগস্ট মাসে আল-কায়েদার প্রতি তাদের বিধিবদ্ধ বিশ্বস্ততার অন্ত ঘটায় ও নুসরা ফ্রন্ট নাম পরিত্যাগ করে৷ জভাৎ ফতেহ আল-শাম গোষ্ঠী ও ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী এই যুদ্ধবিরতিতে সংশ্লিষ্ট নয়৷
ফ্রি সিরিয়ান আর্মি বা এফএসএ-র কিছু কিছু গোষ্ঠী জভাৎ ফতেহ আল-শাম-এর সঙ্গে সহযোগিতা করে থাকে৷ কাজেই এফএসএ-র আশঙ্কা যে, জভাৎ ফতেহ আল-শাম যুদ্ধবিরতি থেকে বাদ পড়ার ফলে রাশিয়া ও সিরিয়া সরকার সেই সুযোগে অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উপর আক্রমণ চালাবে৷
ওদিকে সিরিয়ার মুখ্য রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধী সংগঠন, দ্য হাই নেগোসিয়েশন্স কমিটি বা এইচএনসি এযাবৎ জানায়নি যে, তাদের সৈন্যরা এই যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে কিনা৷ সব মিলিয়ে এই যুদ্ধবিরতির তির্যক মূল্যায়ন করতে হলে একটি কার্টুনের শরণ নিতে হয়...
ব্যঙ্গচিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে, একদল হিংস্র পশুকে নিয়ে সার্কাসের খেলা দেখানোর চেষ্টা করছে শান্তির পারাবত৷ অন্যদিকের টুলের গায়ে আঁচড় কেটে হিসেব রাখা হয়েছে, এটি ঠিক কত নম্বর শান্তি পরিকল্পনা!
এসি/ডিজি (এপি, ডিপিএ, এএফপি)