1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানার জমিতে এবার মাছ চাষ

৩১ জানুয়ারি ২০২২

সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান। সেই সিঙ্গুরের জমিতে এবার মাছ চাষের পরিকল্পনা কৃষকদের। কারণ, ফসল হচ্ছে না।

https://p.dw.com/p/46Iht
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: Satyajit Shaw/DW

তিন ফসলি জমিতে মোটর কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করেছিল সিপিএম। এক হাজার একর জমিতে টাটা কারখানা তৈরি করতে শুরু করেছিল। আর সেই কারখানা ঘিরে গড়ে ওঠে আন্দোলন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এসে টাটার জমি ফের চাষিদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গত দশবছরে সেই জমিতে ভালো ফসল ফলাতে পারেননি কৃষকরা। অগত্যা, সেই জমিতে ভেড়ি তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। ভেড়ি তৈরিতে সাহায্য করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি ও সেচ বিভাগ।

টাটারা মোটরগাড়ির কারখানা তৈরি করবে বলে কলকাতা থেকে একঘণ্টার দূরত্বে সিঙ্গুরে তাদের সস্তায় জমি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল তৎকালীন বামসরকার। মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিঙ্গুরে টাটার কারখানা ছিল বুদ্ধদেবের স্বপ্নের প্রকল্প। কিন্তু বাদ সাধেন কৃষকরা। তিন ফসলি জমি টাটার হাতে তুলে দিতে আপত্তি জানান তারা। আর সেই আন্দোলনের রাশ নিজের হাতে তুলে নেন তৎকালীন বিরোধীনেত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নন্দীগ্রামেও জমির আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। আন্দোলন-পর্বেই মমতা কথা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে তিনি কৃষকদের জমি ফেরত দেবেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে কৃষকরা সেই জমি ফেরতও পেয়েছেন। কিন্তু আগের মতো ফসল আর হয়নি।

টাটার কারখানার কাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় ওই জমিতে কংক্রিটের প্রলেপ পড়ে গিয়েছিল। ফলে জমি ফেরত পেয়েও সেই জমিতে মন মতো ফসল ফলাতে পারেননি কৃষকরা। মাঝে কেটে গিয়েছে বহু বছর। জমি ফেরত পেয়েও কৃষকরা আর্থিক অনটনে ভুগছিলেন। সে কারণেই মাছ চাষের ভাবনা।

তবে সব জমি নয়, ফেরত পাওয়া জমির একটি অংশ ভেড়ির জন্য দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে চাইছেন বহু কৃষক। তাদের দাবি, সরকারই পুকুর কাটার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। প্রথম পাঁচ বছর সরকারই ভেড়ির খরচ বহন করবে বলে কথা দিয়েছে। মাছ চাষের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।

সিঙ্গুরের বিধায়ক এবং রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী বেচারাম মান্না অবশ্য ভেড়ি কাটার কথা মানতে চাননি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, টাটার কারখানা হওয়ার আগে ১২ বিঘার একটি পুকুর ছিল। টাটারা সেই পুকুর বুজিয়ে দিয়েছিল। নতুন করে সেই পুকুরটিই আবার কাটা হচ্ছে। জমি ফেরত পাওয়া কৃষকরা অবশ্য বেচারামের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি।

এসজি/জিএইচ (আনন্দবাজার)