‘সহিংসতার শিকাররা আশ্রয় পাবেন না'
১২ জুন ২০১৮সোমবার দেয়া এই রায়ের ফলে মধ্য অ্যামেরিকার অনেক মানুষ সমস্যায় পড়তে পারেন৷ কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে ঐ অঞ্চলের অনেক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷
২০১৬ সালে এল সালভেদরের এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ‘মানসিক, দৈহিক ও যৌন নিপীড়ন'এর অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন জানান৷ দেশটির ‘বোর্ড অফ ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস' ঐ নারীর আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দিয়েছিল৷
কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর দেশটির শরণার্থী নীতি কঠোর করার প্রক্রিয়া শুরু করেন৷ ফলে গত মার্চ মাসে ঐ নারীর মামলা পুনরায় পরীক্ষা করে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেন সেশনস৷ রায়ে তিনি বলেন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা যে কোনো দেশের জন্যই কঠিন৷
কোনো রাষ্ট্রের পক্ষেই তার নাগরিকদের এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয়৷ এল সালভেদরে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়ার মানে এই নয় যে, সে দেশের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে তার নাগরিকদের রক্ষায় কম ইচ্ছুক৷
মার্কিন সরকার অবশ্য পারিবারিক ও দলগত সহিংসতার কারণে কত সংখ্যক আশ্রয়ের আবেদন পড়েছে তা জানায়নি৷ তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, সংখ্যাটি কয়েক হাজার হতে পারে৷
এল সালভেদরের ঐ নারী কর্মীর আইনজীবী ও আইনের অধ্যাপক কারেন মুসালো বলছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের রায়ের কারণে বিশ্বব্যাপী নারী অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে তার ভিত্তি দূর্বল হয়ে যাবে৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি, রয়টার্স)