‘জামায়াতকে রক্ষার চেষ্টা’
৩ জুন ২০১৪বর্তমান ট্রাইব্যুনাল আইনে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার সম্ভব নয় – আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল গণজাগরণ মঞ্চের৷ তবে পুলিশি বাধার মুখে সেই কর্মসূচি পন্ড হয়ে যায়৷ পুলিশের হামলায় আহত হন দু'জন৷
পুলিশের বাধা পেয়ে নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাব এলাকা থেকে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকায় সমাবেশ করে৷ সেখানে মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রতি আমাদের আস্থা নষ্ট করবেন না৷ যেসব বুদ্ধিজীবী যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছে তাদের ছেঁটে ফেলুন৷ সেসব বুদ্ধিজীবীর ভূত নামিয়ে ফেলুন৷''
তিনি বলেন, ‘‘একজন মন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার দাবি করছে তারা বিচার বাধাগ্রস্ত করতে চায়৷ যে মন্ত্রী ফুল নিয়ে জামায়াত নেতাদের বরণ করে নেন তাঁর কাছে গণজাগরণ মঞ্চকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিখতে হবে না৷''
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, আমরা কেন তাঁর প্রতি আস্থা রাখতে পারছি না৷ আমি বলতে চাই আমরা আস্থা রেখেছি বলেই এখনো আন্দোলন করছি৷ না হলে কিভাবে সরকারকে টেনে ক্ষমতা থেকে নামাতে হয় তা আমাদের জানা আছে৷''
যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লাখো মানুষের সমাবেশের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইমরান বলেন, ‘‘গণজাগরণ মঞ্চের শক্তি এক বছরেই ভুলে গেছেন? ভেবেছেন পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে, দলীয় পেটোয়া বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে, বিভাজন সৃষ্টি করে গণজাগরণ মঞ্চ শেষ হয়ে গেছে?'' যারা জামায়াতকে রক্ষা করতে চায় ‘ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে' তাদের অবস্থান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
ব্লগার আরিফ জেবতিকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বর্তমান ও সাবেক ছাত্রনেতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা৷
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আইনমন্ত্রী হতে হলে জনগণের সামনে পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে৷ মানুষকে বোঝাতে হবে, তিনি আইন বোঝেন৷ তাঁরা সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবি করেন৷