সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের অনুমতি নয় কিউবায়
১৩ অক্টোবর ২০২১আগামী ১৫ নভেম্বর বিক্ষোভের অনুমতি চেয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু তাদের সেই অনুমতি দেয়া হলো না। সরকার জনিয়েছে, অ্যামেরিকার মদতে এই বিক্ষোভ হচ্ছে। তার লক্ষ্য হলো, সরকার ফেলে দেয়া। ব্যবস্থার পরিবর্তন করা। এর আগে জুলাইয়ে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ব্যাপক আকার নিয়েছিল।
কিউবা এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সংকট চলছে। খাবার ও ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম ভয়ংকরভাবে বেড়ে গেছে।
বিক্ষোভ নিয়ে কিউবার সরকার যা বলছে
সরকারের দাবি, বিক্ষোভকারী ও কিছু জনপ্রতিনিধির সঙ্গে অ্যামেরিকার মদতপুষ্ট সংগঠনের যোগাযোগ আছে। এই বিক্ষোভের লক্ষ্য হলো, কিউবার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা।
এই বিক্ষোভের আয়োজন করতে চেয়েছিল আর্চিপিলাগো গোষ্ঠী। তাদের দাবি নাগরিক অধিকারের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করতে চায়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার এবং যে বিরোধী রাজনীতিকদের জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তির দাবিও তারা জানিয়েছে।
প্রথমে তারা ২০ নভেম্বর বিক্ষোভ দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু ওই সময় সরকারি সামরিক কুচকাওয়াজের কর্মসূচি রেখে দেয়। তখন বিক্ষোভ পাঁচদিন এগিয়ে আনা হয়। কিন্তু ১৫ নভেম্বর থেকে সরকার কিউবার দরজা বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দিচ্ছে। প্রায় দুই বছর পর বিদেশি পর্যটকরা আবার কিউবা যেতে পারবেন।
সরকার জানিয়েছে, বিক্ষোভ দেখানোর জন্য যে সব কারণের উল্লেখ করা হয়েছে তা একেবারেই ন্যায্য নয়। ২০১৯ সালে যে নতুন সংবিধান চালু হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, কিউবায় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।
বিরোধী-কৌশল
গত জুলাইয়ে কিউবার ৫০টি শহরে সরকার-বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এই বিক্ষোভ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।
সরকার কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন করতে যায়। এর ফলে একজন মারা যান, বহু মানুষ আহত হন। এক হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছিল। যার মধ্যে এখনো কয়েকশ মানুষ জেলে বন্দি হয়ে আছেন।
বিক্ষোভকারীদের নেতা গার্সিয়া বলেছেন, কিউবায় কিছু করতে গেলেই বলা হয়, ওয়াশিংটনের মদতে তা করা হচ্ছে। তিনি সংবাদসংস্থা ইএফই-কে জানিয়েছেন, বিরোধী নেতারা এখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। তারা পরবর্তী কৌশল ঠিক করবেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিবাদ দেখানো হবে কি না, সেটাই ঠিক করবেন বিরোধীরা।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)