লিবিয়ায় নির্বাচন
৭ জুলাই ২০১২গত বছর বিদ্রোহের মাধ্যমে কর্নেল গাদ্দাফি শাসনের অবসানের পর লিবিয়ায় এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা৷
স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে৷ চলবে রাত আটটা পর্যন্ত৷ তবে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান নূরি আল-আব্বার জানিয়েছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে যেসব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি উপকরণ দেরিতে পৌঁছেছে সেখানে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে৷
আব্বার বলেন, সাড়ে ছয় হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ৯৪ শতাংশ কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে৷ পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জায়গা ছাড়া এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানান তিনি৷ এছাড়া বিদেশে অবস্থানরত লিবীয়রাও ভোট দিচ্ছেন৷
বিভিন্ন বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে৷
তবে নির্বাচনের আগে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে কিছু সহিংস ঘটনা ঘটেছে৷ হামলা হয়েছে সেখানকার নির্বাচনি কার্যালয়ে৷ যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের দাবি সংসদ নির্বাচনে পূর্বাঞ্চলের জন্য পশ্চিমের সমান আসন৷ কেননা লিবিয়ার বর্তমান শাসক এনটিসি মোট ২০০ টি আসনের মধ্যে পশ্চিমকে দিয়েছে ১০০টি আসন৷ আর পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল পেয়েছে ৬০ ও ৪০টি করে আসন৷
নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন তাদের মেয়াদ হবে এক বছর বা তার কিছু বেশি৷ এ সময়ের মধ্যে তারা নতুন একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করবেন৷ ঐ সরকারের কাজ হবে সংবিধান প্রণয়ন করা৷ এরপর ২০১৩ সালে লিবিয়ায় আবারও নতুন করে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
মিশরের নির্বাচনে যেমন মুসলিম ব্রাদারহুডের আধিপত্য দেখা গেছে, লিবিয়াতেও তেমন হতে পারে৷ কেননা তাদের মতো সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচনি প্রচারণা করতে পারে নি আর কোনো দল৷ দলের মার্কা ঘোড়া সম্বলিত সাদা টিশার্ট গায়ে ব্রাদারহুডের তরুণরা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন৷
ব্রাদারহুড ছাড়াও নির্বাচনে আরও তিনটি দলের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এর মধ্যে একটা হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিলের দল৷ আরেকটার নেতৃত্বে আছেন সাবেক জিহাদি নেতা আবদেল-হাকিম বেলহাজ৷ আর তৃতীয় দলটি হচ্ছে লিবিয়ার সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর একটি ন্যাশনাল ফ্রন্ট৷ এই দলটি বেশ কয়েকবার গাদ্দাফিকে হত্যার চেষ্টা করেছিল৷
জেডএইচ / এএইচ (এএফপি, রয়টার্স)