লিবিয়ায় নির্বাচন
৬ জুলাই ২০১২গত প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়া শাসন করেছেন কর্নেল গাদ্দাফি৷ তিনি তাঁর ‘গ্রিন বুক' অনুসারে দেশ পরিচালনা করতেন৷ সেসময় লিবিয়ায় রাজনৈতিক দল বা নির্বাচন বলে কিছু ছিল না৷ কেননা গণতন্ত্র বিষয়টা একেবারেই পছন্দ করতেন না তিনি৷
কিন্তু সময় পাল্টেছে৷ পুরো লিবিয়া এখন ছেয়ে রয়েছে প্রার্থীদের পোস্টারে৷ কারণ শনিবার সেখানে সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে৷
তবে এই নির্বাচনের আগে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে কিছু সহিংস ঘটনা ঘটেছে৷ হামলা হয়েছে সেখানকার নির্বাচনি কার্যালয়ে৷ এছাড়া দুটি তেলক্ষেত্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷
যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের দাবি সংসদ নির্বাচনে পূর্বাঞ্চলের জন্য পশ্চিমের সমান আসন৷ কেননা লিবিয়ার বর্তমান শাসক এনটিসি মোট ২০০ টি আসনের মধ্যে পশ্চিমকে দিয়েছে ১০০টি আসন৷ আর পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল পেয়েছে ৬০ ও ৪০টি করে আসন৷
তবে এসব ঘটনা সত্ত্বেও এনটিসি বলেছে শনিবারের নির্বাচন হবে৷
মিশরের নির্বাচনে যেমন মুসলিম ব্রাদারহুডের আধিপত্য দেখা গেছে, লিবিয়াতেও তেমন হতে পারে৷ কেননা তাদের মতো সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচনি প্রচারণা করতে পারে নি আর কোনো দল৷ দলের মার্কা ঘোড়া সম্বলিত সাদা টিশার্ট গায়ে ব্রাদারহুডের তরুণরা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন৷
ব্রাদারহুড ছাড়াও নির্বাচনে আরও তিনটি দলের ভাল করার সম্ভাবনা রয়েছে৷ এর মধ্যে একটা হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিলের দল৷ আরেকটার নেতৃত্বে আছেন সাবেক জিহাদি নেতা আবদেল-হাকিম বেলহাজ৷ আর তৃতীয় দলটি হচ্ছে লিবিয়ার সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক গোষ্ঠীর একটি ন্যাশনাল ফ্রন্ট৷ এই দলটি বেশ কয়েকবার গাদ্দাফি হত্যার চেষ্টা করেছিল৷
শনিবার যারা নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ হবে এক বছর বা তার কিছু বেশি৷ এ সময়ের মধ্যে তারা নতুন একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করবেন৷ ঐ সরকারের কাজ হবে সংবিধান প্রণয়ন করা৷ এজন্য একটি কমিটি গঠনের কথা থাকলেও শাসক এনটিসি বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে একটি ডিক্রি জারি করে বলেছে যে, সংবিধান প্রণয়নের জন্য যে কমিটি গঠিত হবে তার সদস্যদের বাছাই করে নয়, নির্বাচিত হতে হবে৷
সংবিধান প্রণয়ন শেষে ২০১৩ সালে লিবিয়ায় আবার নতুন করে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
শনিবারের নির্বাচনে লিবিয়ার ছয় মিলিয়ন অধিবাসীর মধ্যে ভোট দিতে পারবেন ২.৮ মিলিয়ন৷
জেডএইচ / এসবি (এএফপি, এপি)