1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তি পাচ্ছে সু চি’র জীবন নিয়ে ছবি ‘দ্য লেডি’

২৪ নভেম্বর ২০১১

অং সান সু চি’কে নিয়ে তৈরি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছায়াছবি তৈরি করেছেন ফ্রান্সের পরিচালক লুক বেসোঁ৷ নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী মিশেল ইয়েও৷

https://p.dw.com/p/13GQ5
ছবি: Kirsten Cappy/Anne Sibley O'Brien

নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার প্রায় ২ দশক পর মিয়ানমারের জননেত্রী অং সান সু চি ধীরে হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে আসার সুযোগ পাচ্ছেন এবং সেই সুযোগের যথাসম্ভব সদ্ব্যবহারেরও চেষ্টা করছেন৷ সামরিক শাসকদের হাতে দীর্ঘদিন গৃহবন্দী থাকা সত্ত্বেও তাঁর কণ্ঠে প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ বা ক্ষোভের কোনো সুর শোনা যায় না৷ শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে তিনি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলে চলেছেন৷

জীবন্ত এই কিংবদন্তিকে রুপালি পর্দায় ফুটিয়ে তুলছেন ফ্রান্সের পরিচালক লুক বেসোঁ৷ চলতি মাসের শেষেই মুক্তি পাবে সেই ছবি৷ নাম ‘দ্য লেডি' – সু চি'কে এই নামেও ডাকা হয়৷ তাঁর ভূমিকায় অভিনয় করছেন মালয়েশিয়ার অভিনেত্রী মিশেল ইয়েও৷ আশা করা হচ্ছে, এই ছবির ফলে মায়ানমারের সামরিক শাসকদের উপর রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে৷

Flash-Galerie HIV / Aids 2010
নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার প্রায় ২ দশক পর মিয়ানমারের জননেত্রী অং সান সু চি ধীরে হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে আসার সুযোগ পাচ্ছেন (ফাইল ফটো)ছবি: AP

‘দ্য লেডি' ছবিতে পরিচালক মূলত ব্যক্তি হিসেবে অং সান সু চি'র আত্মত্যাগের বিষয়টিকেই তুলে ধরেছেন৷ মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি নিজে যে বলিদান দিয়েছেন, তার তুলনা মেলা ভার৷ স্ত্রী ও মা হিসেবে তাঁকে পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়েছে৷ এমনকি স্বামীর মৃত্যুর সময়ও তিনি পাশে থাকতে পারেন নি৷ কিন্তু স্বামী ও দুই ছেলের অবদানও কম ছিল না৷ তারা দূরে থেকেও সু চি'র আদর্শ ও কাজের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে এসেছে৷

সু চি'র মতো জীবন্ত কিংবদন্তিকে নিয়ে ছবি তৈরি করা মোটেই সহজ নয়৷ সেই ছবি তথ্যচিত্রের মতো হয়ে উঠতে পারে৷ বা বড়জোর ‘ডকু-ড্রামা'৷ কিন্তু লুক বেসোঁ পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছায়াছবি তৈরি করেছেন, যাতে সু চি'র পিতা জেনারেল অং সান'এর হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ইতিহাসের কিছু ঘটনাও উঠে এসেছে৷ তার উপর বেসোঁ এবং অভিনেত্রী মিশেল ইয়েও সু চি'র সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান নি৷ ইয়েও ইয়াঙ্গন বিমানবন্দরে নামার পর তাঁকে পরের বিমানে আবার ফেরত পাঠানো হয়৷

ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগেই সমালোচকদের মনোভাব সম্পর্কে আগাম আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷ তাঁরা বলতে পারেন, সু চি'র জীবন বড় রোম্যান্টিক করে তোলা হয়েছে বা মিয়ানমারের নিসর্গ ও জনগোষ্ঠীগুলিকেও বেশ পরিপাটি করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য