মানবমর্যাদা অলঙ্ঘনীয়
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬বহু উদ্বাস্তু, শরণার্থী এবং অভিবাসীদের আগমনের ফলে জার্মানি আজ একাধিক অ-গতানুগতিক ও সুবৃহৎ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন৷ চ্যালেঞ্জগুলি গতানুগতিক নয় বলেই তাদের বিরুদ্ধে একটি অনুরূপ অ-গতানুগতিক ও অসাধারণ জোট গড়ে উঠেছে৷ এই জোট অসহিষ্ণুতা, মানুষে মানুষে বৈরিতা ও হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে৷ শ্রমিক সংগঠন থেকে শুরু করে গির্জা কিংবা খেলাধুলার জগৎ, পরিবেশ সংরক্ষণ কিংবা সাংস্কৃতিক মহল, সব কিছুর প্রতিনিধিরা এই জোটে সংশ্লিষ্ট, যা সম্ভবত আয়তনে জার্মানির সুশীল সমাজে অভূতপূর্ব৷
রাজনৈতিক বার্তা
আমরা এই আহ্বানের মাধ্যমে একটি স্পষ্ট ও জরুরি রাজনৈতিক বার্তা দিতে চাই: হ্যাঁ, চ্যালেঞ্জগুলো বড় বটে, কিন্তু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমরা সকলে, সুশীল সমাজ ও উদ্বাস্তুরা মিলে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারব৷ যেমন আমাদের, তেমনই উদ্বাস্তু ও অভিবাসীদের তরফে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া তা সম্ভব হবে না৷ ইস্তেহারে যে ধরনের শর্ত ও নিয়মাবলীর কথা বলা হয়েছে, তা ছাড়াও এ-কাজ সম্ভব হবে না; শিক্ষা ও অবকাঠামোয় বিনিয়োগ ও কর্মী নিয়োগ করতে হবে৷
যারা জাতিবাদ, মানববৈরিতা ও ঘৃণা দিয়ে এই সব চ্যালেঞ্জের জবাব দেবার চেষ্টা করে, তাদের প্রতি আমাদের রাজনৈতিক মনোভাব যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনই স্পষ্ট৷ উদ্বাস্তু আবাসনের উপর ন'শোর বেশি আক্রণের ঘটনা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু দেশে দক্ষিণপন্থিদের লক্ষণীয়ভাবে জনসমর্থন বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে যে বিকাশধারা সূচিত হয়েছে, তা আমাদের রোধ করতে হবে৷ এটা স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, জার্মানি এবং অপরাপর দেশে যে ধারাটি প্রতিদিন পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা অনেক বেশি জোরদার: যারা উদ্বাস্তুদের সাহায্য করার জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করে চলেছেন, পৌর পর্যায়ে, স্কুলে কিংবা পুলিশবাহিনীতে, তাঁদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণার কথা তুলে ধরতে হবে৷
কাজের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি
আমরা এই জোটের উদ্যোগ নিয়েছি, কেননা অফিস, কল-কারখানা, কনস্ট্রাকশন সাইট কিংবা সুপারমার্কেটই হলো সেই সব স্থান, যেখানে বিদেশি-বহিরাগতদের সমাজে অন্তর্ভুক্তি বাস্তবে পরিলক্ষিত হয়৷ চিরকালই এই সব স্থানে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির মানুষদের মধ্যে দেখাসাক্ষাৎ ঘটে৷ যারা একসঙ্গে কাজ করেছেন, তারা আর পরস্পরের কাছে অপরিচিত থাকেন না৷ বহিরাগতদের সমাজে অন্তর্ভুক্তির জন্য আমাদের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা এবং অফিস-কলকারখানার শ্রমিক ও কর্মচারী পরিষদের কর্মকর্তারা সক্রিয় হবেন৷ জোটে আমাদের সহযোগী সংস্থারা তাদের নিজ নিজ কাঠামো অনুযায়ী এই ইস্তেহারের লক্ষ্য সাধন করার চেষ্টা করবে – আবার আমরা বিভিন্ন যৌথ প্রচেষ্টাও নেব৷
জোটের দশ সহযোগী সংস্থা এই জোটকে বাড়ানোর এবং অপরাপর সংগঠন ও জনজীবনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বদের শামিল করার চেষ্টা করবে৷