দশ হাজার শরণার্থী শিশু ‘নিখোঁজ’!
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬সংস্থার ‘চিফ অফ স্টাফ' ব্রায়ান ডোনাল্ড ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য অবজারভার'-কে বলেন, ‘‘এটা বলা অযৌক্তিক হবে না যে আমরা ১০ হাজারের বেশি শিশুকে খুঁজছি৷'' আসল সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি৷ অবশ্য হারিয়ে যাওয়া শিশুদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ত ইতিমধ্যে তাদের পরিবারের সঙ্গে আবারও মিলিত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেন ডোনাল্ড৷ তবে তারা কোথায় আছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই৷
এদিকে, ইউরোপোল-এর একজন মুখপাত্র আরেক ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান'-কে জানিয়েছেন, ইউরোপে শরণার্থীদের আগমনকে ঘিরে লাভবান হতে চাওয়া ‘অনেক' অপরাধীকে হাঙ্গেরি ও জার্মানি থেকে আটক করা হয়েছে৷ ঐ একই মুখপাত্র জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছেন, শরণার্থী চোরাচালান থেকে লাভবান হওয়া অপরাধী গোষ্ঠীগুলো যে তাদের পদ্ধতি পরিবর্তন করে শিশু দাসত্ব ও যৌনকর্ম বিষয়ক ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে সেই তথ্য ইউরোপোলের কাছে রয়েছে৷
ইউরোপোল-এর হিসাবে, ২০১৫ সালে ইউরোপে যে ১০ লক্ষেরও বেশি শরণার্থী এসেছে তাদের মধ্যে ২৭ শতাংশ শিশু হতে পারে৷
জার্মানির অবস্থা
২০১৫ সালে জার্মানিতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার শিশু শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জার্মান সংগঠন ‘ফেডারেল এসোসিয়েশন ফর আনএকমপেনিড মাইনর রিফিউজিস' বা বিইউএমএফ৷ মূলত আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, ইরিত্রিয়া ও সোমালিয়া থেকে তারা এসেছে৷
বিইউএমএফ-এর কর্মকর্তা নিলস এশপেনহোর্স্ট জানান, আগত শিশুদের মধ্যে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ শিশু হারিয়ে যেয়ে থাকতে পারে৷ পুলিশ এখন ‘হারিয়ে যাওয়া সাইকেল' যেভাবে খোঁজে সেভাবে হারিয়ে যাওয়া শরণার্থী শিশুদের খুঁজবে বলে ডয়চে ভেলের কাছে মন্তব্য করেন এশপেনহোর্স্ট৷
শরণার্থীদের আগমনকে ঘিরে লাভবান হতে চাওয়া অপরাধীদের কী শাস্তি হওয়া উচিত? জানান নীচের ঘরে৷