1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে আসছে যুদ্ধ বিমান রাফাল, আসবে মিসাইলও

২৮ জুলাই ২০২০

বুধবার ভারতে পৌঁছচ্ছে নতুন যুদ্ধ বিমান রাফাল। প্রথম পাঁচটি বিমান পাঠানো হবে লাদাখে। এরপর আসবে হ্যামার মিসাইলও।

https://p.dw.com/p/3g1Me
ছবি: picture alliance/AP Images

ফ্রান্স থেকে পাঁচটি রাফাল বিমান রওনা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার তা প্রথমে নামবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে জ্বালানি ভরে বুধবার ফের ভারতের উদ্দেশে রওনা হবে পাঁচটি রাফাল ফাইটার বিমান। ভারতের আম্বালায় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে প্রথমে নামবে বিমানগুলি। তারপর সেখান থেকে রওনা হবে লাদাখে। চীন-ভারত সংঘাতের কারণে আপাতত সেখানেই রাখা হবে বিমানগুলিকে।

২০১৬ সালে ফ্রান্সে গিয়ে রাফাল যুদ্ধ বিমান চুক্তিতে সই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোট ৩৬টি বিমান ফ্রান্সের থেকে কেনার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু মোদীর ওই চুক্তির পরেই তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি দাবি করে, অনেক বেশি দামে যুদ্ধ বিমান কিনেছেন মোদী। এর পিছনে দুর্নীতি রয়েছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনের পরে রাফাল নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে যায়।

গত মে মাসে লাদাখে ভারতের সঙ্গে চীনের সংঘাত শুরু হওয়ার পরে ফের রাফাল প্রসঙ্গ সামনে আসে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়ে দেয়, কিছু দিনের মধ্যেই প্রথম পর্বের রাফাল যুদ্ধ বিমান ভারতে পৌঁছে যাবে। যা সেনাবাহিনীর মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দেবে। শুধু তাই নয়, সংকটের সময়ে ফ্রান্সের কাছে অতিরিক্ত হ্যামার মিসাইল দাবি করে ভারত। রাফাল বিমানে এই হ্যামার মিসাইল ব্যবহার করা হয়। মিডিয়াম রেঞ্জের এই মিসাইল খুব কম সময়ে শত্রু শিবির ধ্বংস করতে পারে। প্রাথমিক ভাবে হ্যামার মিসাইল ভারতের পাওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু চীন সংকট শুরু হওয়ার পরেই ভারত ফ্রান্সের কাছে দ্রুত হ্যামার মিসাইল পাঠানোর দরখাস্ত করে। ফরাসি কোম্পানি জানায়, পুরনো স্টক থেকে আপাতত তারা ভারতকে কয়েকটি মিসাইল দেবে।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রাফাল আধুনিক যুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যুদ্ধবিমান। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই বিমান ভারতের সমর শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলে তাঁরা মনে করছেন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটে রয়েছে ইউরোপের মিসাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা এমবিডিএ-র মিটিওর বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার।

এখনও পর্যন্ত ভারতের ১২ জন বায়ুসেনা অফিসারকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে রাফালে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাঁদেরই কয়েকজন ফ্রান্স থেকে রাফাল নিয়ে ভারতে আসছেন। বায়ুসেনা সূত্র জানিয়েছে, অম্বালায় নামার পরেই বিমানগুলিকে লাদাখের লে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে এখন রয়েছে ভারতের অন্যান্য ফাইটার বিমান।

পরবর্তী ধাপে আরও যে রাফাল আসবে তা নিয়ে যাওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গের বায়ুসেনা ঘাঁটি হাসিমারায়। আপাতত সেখানেই রাখা থাকবে বিমানগুলি। হাসিমারা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটি। সেখান থেকে সহজেই ভারতের উত্তর পূর্বের সীমান্তে পৌঁছনো যায়। ওই অঞ্চলেও চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)