রাফাল জঙ্গিজেট কেনা নিয়ে সমঝোতা
২৫ জানুয়ারি ২০১৬সোমবার ছিল ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন৷ ওলঁদ এসেছেন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে মুখ্য অতিথি হিসেবে, কিন্তু তাঁর সফর যে একদিকে নিরাপত্তা ও অন্যদিকে বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷
নিরাপত্তা স্বভাবতই তাঁর এজেন্ডার শীর্ষে – বিশেষ করে ইসলামিক স্টেট যখন একটি নতুন ভিডিও-তে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আইএস বিরোধী জোটকে উত্তরোত্তর আক্রমণের হুমকি দিয়েছে৷ এর উত্তরে ওলঁদ সোমবার নতুন দিল্লিতে বলেছেন, ‘‘আমাদের কোনো কিছু রুখতে পারবে না৷ কোনো হুমকি ফ্রান্সকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না৷''
এক্ষেত্রে একদিকে যেমন মোদী বলেছেন যে, প্যারিস সন্ত্রাসের পর ফ্রান্সের সঙ্গে সংহতির নিদর্শন হিসেবেই ওলঁদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে – প্যারিস এবং পাঠানকোটের সন্ত্রাসকে একই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন মোদী – তেমনই ওঁলদ প্যরিস সন্ত্রাসের পর ভারতের সহানুভূতি ও সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দু'টি দেশের এই সহযোগিতা আরো জোরদার করার কথা বলেছেন৷
বাণিজ্যিক – এবং সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যে ৩৬টি রাফাল জঙ্গিজেট কেনা নিয়ে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে বহুদিন ধরে টানাপোড়েন চলেছে, এবার সে বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বটে, কিন্তু প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় এবারেও চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না৷
আইএস বর্তমানে দু'টি দেশকেই ভাবিয়ে তুলেছে৷ ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে দেশজ ইসলামিক স্টেট রংরুটদের সম্ভাব্য আক্রমণের খবর বেশ কিছুদিন ধরেই বাজারে রয়েছে৷ বিগত কয়েক দিনে ন্যাশনাল ইভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ নামধারী সন্ত্রাস প্রতিরোধী সংস্থা ১৪ জন সম্ভাব্য আইএস সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে৷ তবে আইএস-এর পতাকা ইত্যাদি শুধু জম্মু-কাশ্মীরেই নয়, দেশের অন্যত্রও আইএস তাদের উপস্থিতির চিহ্ন রাখতে শুরু করেছে, যেমন রাজস্থানে একটি গান্ধীমূর্তির উপর ‘আইসিস জিন্দাবাদ' লিখে৷
প্রজাতন্ত্র দিবস কুচকাওয়াজে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর ‘লোন উল্ফ' বা কোনো একক সন্ত্রাসীর আক্রমণের সম্ভাবনাও নাকি পুরোপুরি নাকচ করা যাচ্ছিল না৷
এসি/ডিজি (এএফপি/এপি)