মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান
১৫ আগস্ট ২০১৪একে অপরের দেশে গিয়ে ক্রিকেট খেলা যখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে, তখন এমন দ্বিপাক্ষিক ফুটবল সিরিজ নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখা যাচ্ছে৷ দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রিকেটের তুলনায় ফুটবলের জনপ্রিয়তা কম – এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ উত্তেজনার এমন অভাবই হয়ত এমন এক সফর সম্ভব করেছে৷
পাকিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন কলিমুল্লাহ বলেন, এই সিরিজ দুই দেশের মধ্যে ‘শান্তি ও মৈত্রী' প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করবে৷ তাঁর মতে, এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা৷ সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে তিনি বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি – যে খেলাই হোক না কেন, দুই টিমের উপরেই প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়৷ যে টিম এই চাপ সামলাতে পারে, তারই জয় হয়৷ তবে তিনি এও স্বীকার করেন, ভারতের ফুটবল টিম যথেষ্ট ভালো৷ তাছাড়া নিজেদের মাঠে দর্শকদের সমর্থনও তারা পাবে৷ উল্লেখ্য, গত ৯ বছরে দুই দেশের মধ্যে এমন সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়নি৷
সম্প্রতি পাকিস্তানের ফুটবল জগতে বেশ কিছু ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন ২২ বছর বয়স্ক কলিমুল্লাহ ও মহম্মদ আদিল কিরগিজিস্তানের ‘দরদই বিশকেক' ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলছেন৷ গত মাসেই কলিমুল্লাহ দশ হাজার ডলার মূল্যের এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন৷
এই ফুটবল সিরিজের ‘টাইমিং'-এর একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ আগামী অক্টোবর মাসে ভারতীয় ফুটবল লিগ শুরু হচ্ছে৷ ক্রিকেট লিগের মতো এ ক্ষেত্রেও ক্লাবগুলি গোটা বিশ্বের অনেক খেলোয়াড়কে আকৃষ্ট করবে – এমনটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ পেশাদারি ফুটবলের এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চায় পাকিস্তানও৷ ক্রিকেট লিগে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের শামিল করা কঠিন হলেও ফুটবলের ক্ষেত্রে তা কোনো বাধা হবে না বলে তাদের আশা৷ কলিমুল্লাহ বলেন, গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা খেলেছেন বলে তাঁরা শুনেছেন৷ তাঁর আশা, এবারের সিরিজে পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা ভালো খেললে ভারতীয় ফুটবল লিগে তাঁদের স্থান হতে পারে৷
তবে শুধু ফুটবল নয়, ক্রিকেট অনুরাগীরাও নিজেদের মাঠেই দুই দেশের ম্যাচ দেখার সুযোগ পেতে চলেছেন৷ গত মাসে স্বাক্ষরিত এক চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৮ বছরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৬টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে৷ নতুন দিল্লি অনুমোদন করলে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসেই প্রথম সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবার কথা৷
এসবি/ডিজি (এএফপি)