ফুটবলের হেয়ারস্টাইল
অনেক ফুটবলার আছেন যাঁরা খেলার পাশাপাশি তাঁদের দেখতে কেমন লাগছে, সেদিকেও বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন৷ দর্শকরাও তাঁদের পছন্দের ফুটবলারদের বিভিন্ন রূপে দেখতে পছন্দ করে৷
রোনাল্ডো, ব্রাজিল
রোনাল্ডো তাঁর সময়ে শুধু যে খেলা দিয়েই বিশ্বের তাবৎ ফুটবলপ্রেমীর নজর কেড়েছিলেন তা নয়৷ ২০০২ সালের বিশ্বকাপে রোনাল্ডোর এই হেয়ারকাট সবাইকে বিস্মিত করেছিল৷ পরবর্তীতে অনেকেই রোনাল্ডোর এই স্টাইল অনুসরণ করেছিলেন৷ নেইমারও ছিলেন সে দলে৷
রোব্যার্তো বাজ্জো, ইটালি
বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন এই প্লেমেকার এবং ফ্রি-কিক বিশেষজ্ঞ রোব্যার্তো বাজ্জো৷ তাঁর নাম একসময় বিশ্বকাপের স্বপ্নের দলেও অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল৷ তবে বাজ্জোর আরেক পরিচয় তাঁর চুলের স্টাইলের জন্য৷ ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় ‘দ্য ডিভাইন পনিটেল’ বাজ্জোর সঙ্গে ছিল৷
রোমানিয়ার জাতীয় দল
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ব্রিটেনকে হারানোর পর টিউনিশিয়ার সঙ্গে খেলার পূর্বে রোমানিয়ার ফুটবলাররা সবাই চুলের রং সোনালি করেছিলেন৷ আশা ছিল ‘ব্লন্ড’ চুল তাঁদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে৷ কিন্তু গ্রুপ পর্ব পেরোলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়ে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে যায় রোমানিয়া৷
তারিবো ওয়েস্ট, নাইজেরিয়া
কেমন লাগছে দেখতে এই স্টাইলটি? রংটা মাঝেমধ্যে পরিবর্তন করতেন ওয়েস্ট৷ আর বাকিটা ১৫ বছর ধরে একই ছিল৷ এমনকি ইন্টার মিলানের হয়ে ওয়েস্ট যখন উয়েফা কাপ জেতেন তখনও৷
কার্লস ভালডেরামা, কলম্বিয়া
গত শতকের আশি-নব্বই দশকে মাঠ কাঁপানো কলম্বিয়ার ভালডেরামার কথা নিশ্চয় অনেকের মনে আছে৷
ফেলাইনি ও লুইস
ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলছেন এ দুজন৷ ব্রাজিল সমর্থক মাত্রই জানেন ছবির বা পাশের জন ডেভিড লুইস৷ আর তার সঙ্গে রয়েছে বেলজিয়ামের ফেলাইনি৷ দুজনই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেন৷ ছবিটি সেখানকার৷
মারিও বালোতেল্লি, ইটালি
খেলার চেয়ে খেলার বাইরের বিষয় নিয়েই গণমাধ্যমে বেশি আলোচনায় থাকেন বালোতেল্লি৷ নিজের চুলের স্টাইলও মাঝেমধ্যে পরিবর্তন করতে ভালবাসেন তিনি৷
নেইমার, ব্রাজিল
ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলার পাশাপাশি চুলের স্টাইল দিয়েও সমর্থকদের মন জয় করছেন ২২ বছরের নেইমার৷