ভানুয়াতুতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে ব্যবস্থা
১১ এপ্রিল ২০১৯ঐ প্রক্রিয়া শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা খুব দ্রুতই আটকে থাকা বাংলাদেশিদের উদ্ধারের জন্য একটি দল ভানুয়াতুতে পাঠাবেন৷ সরকারের এ দলটি আটকে থাকাদের নাগরিকত্ব যাচাই শেষে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে৷''
চাকরি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ভানুয়াতুতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতারিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এ দ্বীপপুঞ্জটিতে আটকে আছেন ১০১ জন বাংলাদেশি৷ গত মাসে সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ বিষয়ক খবর প্রকাশিত হয়৷ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল যে, এ বিষয়ে তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা ভানুয়াতু সরকারের কাছ থেকে আটক থাকাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে৷
আটকে থাকাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের টাঙ্গাইল ও বরিশাল অঞ্চলের বাসিন্দা৷ শ্রমিকদের দাবি, ভানুয়াতু ও অস্ট্রেলিয়াতে ভালো চাকরি দেবার নামে তাঁদেরকে নিয়ে যাওয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা সেখানেই আটকে আছেন৷ আটক ১০১ বাংলাদেশির মধ্যে দুজন শিশুও রয়েছে উল্লেখ করে রয়টার্স বলছে, তারা সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন৷
এদিকে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া পাচারকারীদের কয়েকজনকে ইতিমধ্যে মানবপাচারের দায়ে আটক করেছে ভানুয়াতু কর্তৃপক্ষ৷
তবে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দেশটির আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আছে ভানুয়াতু সরকার৷ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন৷
ভানুয়াতু থেকে খুব দ্রুতই দেশে ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে আটকে থাকাদের একজন হারুন অর রশিদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ভানুয়াতু সরকারের করা মামলায় আটকে থাকারা সাক্ষী হিসেবে ভূমিকা রাখছেন৷ যে কারণে আদালতের বিষয়াদি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হয়ত তাঁরা চাইলেই দেশে ফিরতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন হারুন৷
দেশে ফেরত আসার আগ পর্যন্ত ভানুয়াতুতে কাজ করার অনুমতি চাইছেন আটকে থাকাদের অনেকেই৷ হারুন অর রশিদ রয়টার্সকে জানান যে, তাঁরা স্থানীয় এনজিওর কাছে ভানুয়াতুতে কাজের অনুমতি পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেছেন৷ ‘‘আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে, যে কারণে আমরা চাইছি এ সময়টিতে আমাদেরকে এখানে কাজ করার অনুমতি দেয়া হোক,'' বলেন তিনি৷
আরআর/জেডএইচ (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)