‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক'
৫ মে ২০১৫ঐ কবরে মোট ২৬টি মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়৷ শিবিরে পাচারের শিকার হওয়া চারশর বেশি মানুষকে মুক্তিপণের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল৷ যাদের অধিকাংশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশি৷
সামহয়্যার ইন ব্লগে মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব লিখেছেন, ‘‘অবৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মালেশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়ার পথে কয়েক দিন পরপরই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ৷ আসলে যারা নিজের জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য অবৈধ পথ অবলম্বন করে, তারা মূলত শখের বশে বিদেশ যায় না৷ এক শ্রেণির দালাল চক্র অল্প টাকায় বিদেশ পৌঁছে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়৷ এ সব দালাল চক্রের মিষ্টি কথায় বিশ্বাস করে আমাদের দেশের সরলমনা মানুষ নিজের জীবনকে ঝুকিঁর মুখে ফেলে দিচ্ছে৷ সুতরাং এই সমস্যা সমাধানের জন্য একদিকে যেমন সরকারি উদ্যোগে দেশেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে, অন্যদিকে দালাল চক্রকে নির্মূল করার জন্য শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা করতে হবে৷ আমাদের দেশের গরিব মানুষ বিদেশ গিয়ে এমন নির্মমভাবে প্রাণ হারাক – এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক৷''
সাংবাদিক হারুন উর রশীদ স্বপন একই ব্লগে লিখেছেন, ‘‘থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়ার সীমান্তে গভীর জঙ্গলের গণকবর থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি তরুণ আনুজার (২৮) দেশে ফিরতে চায়৷ কিন্তু কীভাবে সে দেশে ফিরবে, তা জানে না৷ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও কেউ তিনদিনে যোগাযোগ করেনি৷ তাঁর বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়নি৷ থাইল্যান্ডের গণমাধ্যম বিশেষ করে ব্যাংকক পোস্ট এবং ফুকেট নিউজ আনুজারের ছবিসহ তাঁর কথা বড় করে তুলে ধরছে৷ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও তোলপাড় তাঁকে নিয়ে৷
মুক্তিপণ না দেয়ায় তাঁকে নদী পথে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে নিয়ে যায়৷ থাই কর্তৃপক্ষ শুক্রবার যখন সাংগালা প্রদেশের গভীর জঙ্গলে গণকবরে অভিযান চালায় তখন মানব পাচারকারীরা আনুজারকে মৃত ভেবে ফেলে গিয়েছিল৷ সে জানায় তাঁর সঙ্গে নিয়ে আসা ১০ বাংলাদেশি মারা গেছে৷ এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের গণকবর থেকে ২৬টি মৃতদহে উদ্ধা করা হয়েছে৷ বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বন্দি রাখার ১০০ ক্যাম্প চিহ্নিত করা হয়েছে৷''
এ নিয়ে টুইটারে দেশি বিদেশি অনেকেই তাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ এছাড়া খবরটি শেয়ার করেছেন অনেকে৷ শরীফ নীর লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে মানব পাচার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া উচিত৷''
ইসাবেলা লিখেছেন, ‘‘থাইল্যান্ডের এই ঘটনা প্রমাণ করে মিয়ানমার আর বাংলাদেশে মানব পাচার শিল্প কী আকার ধারণ করেছে৷''
লোটি লাইসট এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷
সাবরিনা আরজুমান্দ ডেইলি স্টারের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘যেখানে জীবন বিপন্ন...৷''
ম্যাট হারবার্ট রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে লিখেছেন, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে মানবপাচার শিবিরে ৩০টি কবরের সন্ধান৷ ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমার ও বাংলাদেশের অধিবাসী৷''
হামিদুল্লাহ বাবু এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷
জাইমা ইসলাম মানব পাচার সংক্রান্ত ডেইলি স্টারের একটি বিশেষ প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ