1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেন নিজস্ব নিয়মেই ব্যবসা-বাণিজ্য করবে

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভবিষ্যতে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যের রূপরেখা তুলে ধরলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা৷ ইইউ-র সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের বদলে তিনি নিজস্ব বিধিনিয়মের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷

https://p.dw.com/p/3XvF2
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ছবি: Reuters/F. Augstein

৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর হবার পর চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্কের মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না৷ এই অন্তর্বর্তীকালেই ভবিষ্যৎ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে ঐকমত্য অর্জনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে৷ মার্চ মাস থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবার কথা৷ কিন্তু তার আগেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার তর্জনগর্জন শুরু করে দিয়েছে৷

সোমবার ব্রাসেলসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপ সংক্রান্ত উপদেষ্টা ডেভিড ফ্রস্ট বলেন, ব্রিটেনকে ভবিষ্যতেও ইইউ বিধিনিয়ম মেনে চলার হুমকি দেওয়া যাবে না৷ তাঁর মতে, এ বিষয়ে ঐকমত্য সম্ভব না হলে অস্ট্রেলিয়ার আদলে ব্রিটেনও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাঠামোর আওতায় ইইউ-র সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে প্রস্তুত৷ ফ্রস্ট বলেন, ব্রিটেন ইইউ-র সঙ্গে এক সহজ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে চায়৷

ইইউ শুরু থেকেই ব্রিটেনের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির কাঠামো স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন সম্প্রতি লন্ডনে এমন বোঝাপড়ার কাঠামো তুলে ধরেছেন৷ তাঁর সাফ কথা, যে কোনো পরিস্থিতিতেই প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে কোনোরকম বৈষম্য থাকলে চলবে না৷ বিশেষ করে পরিবেশ ও শ্রমের ক্ষেত্রে ইইউ-র বিধিনিয়ম মেনে চললেই ইইউ-র বাজারের নাগাল পাওয়া সম্ভব৷ উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত ব্রিটেনের বাণিজ্যের সিংহভাগই ইইউ দেশগুলির সঙ্গে চলে আসছে৷ ভবিষ্যতে শুল্ক, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বাধা সৃষ্টি হলে ব্রিটেনের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ পূর্বাভাষ দিচ্ছেন৷

বরিস জনসন এমন শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত নন৷ তাঁর মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার মূল কারণই ছিল নিজস্ব শর্তে বাকি বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালানো৷ আগের মতো ইইউ-র বিধিনিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকলে ব্রিটেনের সেই স্বাধীনতা খর্ব হবে৷ তাই ব্রিটেন নিজস্ব নিয়মের ভিত্তিতেই সব দেশ ও জোটের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়৷

এমন প্রেক্ষাপটে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত অনিবার্য বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের মধ্যে যে মনোমালিন্য দেখা গিয়েছিল, বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার ক্ষেত্রে সেই পরিবেশ আরও বিষাক্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)