1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারো আলোচনায় রেশমা

২ জুলাই ২০১৩

সাভারে ভবন ধসে আটকে পড়া পোশাক শ্রমিক রেশমাকে ১৭ দিন পর উদ্ধারের ঘটনাকে ‘ধোঁকা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে একটি ব্রিটিশ পত্রিকা৷ এই নিয়ে ব্লগ, ফেসবুকে চলছে তুমুল আলোচনা৷ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও এই বিষয়ে তাদের অবস্থান জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/190E6
Bangladeshi rescuers retrieve garment worker Reshma from the rubble of a collapsed building in Savar on May 10, 2013, seventeen days after the eight-storey building collapsed. The death toll from last month's collapse of a garment factory complex in Bangladesh rose past 1,000 as piles of bodies were found in the ruins of a stairwell where victims had sought shelter. AFP PHOTO/STR (Photo credit should read STRDEL/AFP/Getty Images)
ছবি: Getty Images/AFP/STRDEL

গত ১০ মে সাভারে ধসে পড়া ভবনের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয় ২২ বছর বয়সি রেশমাকে৷ ১৭ দিন পর একটি ধসে পড়া ভবন থেকে একজনকে উদ্ধারের এই খবর সাড়া ফেলে গোটা বিশ্বে৷ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে৷ কিন্তু গত সপ্তাহে রেশমাকে উদ্ধারের এই ঘটনাকে ‘ধোঁকা' হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশের বর্তমান বিরোধী দলপন্থী পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ৷ একই ধরনের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে গেছে লন্ডনের সানডে মিরর

বিভিন্ন কমিউটিনিটি বাংলা ব্লগ এবং সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে এই বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে মোঃ হাসান আরিফ লিখেছেন, ‘‘এতদিন পর মনে হচ্ছে রেশমার ঘটনা সাজানো নাটক৷'' একই ব্লগ সাইটে ফজলে রাব্বি জেমস লিখেছেন, ‘‘আমাদের সমস্যা হলো আমরা ভালোর মধ্যেও মন্দ খুঁজি৷'' তিনি রেশমাসহ বর্তমানে আলোচিত বিভিন্ন বিষয়ের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন৷

কমিউনিটি ব্লগ সাইট আমার ব্লগে যাযাবর রাজুর নিবন্ধের শিরোনাম, ‘‘মিররের প্রতিবেদন নিয়ে অতি উত্তেজনা বাংলাদেশের সাংবাদিকতার লেজুরবৃত্তির আরেক প্রমাণ৷'' এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘বিস্ময়করভাবে দেখা গেলো যুক্তরাজ্যের দৈনিক মিররে আমার দেশের প্রতিবেদনটি এক প্রকার অনুবাদ করে প্রকাশের পর প্রথমসারির দৈনিকগুলো সরব হলো! আর বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সংবাদের পর আমার দেশের সংবাদকে প্রচারে উঠে-পড়ে লাগলাম৷''

ফেসবুকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ #রেশমা হ্যাগট্যাগ ব্যবহার করে সানডে মিররের প্রতিবেদন সম্পর্কে সিয়াম আশরাফুল লিখেছেন, ‘‘রেশমার কোন সহকর্মী এসে বললো (কোনো প্রমাণ ছাড়া, অথচ উদ্ধারের কাহিনি আমরা টিভিতেই দেখেছি, সিএনএনও এটা দেখিয়েছে) রেশমা উদ্ধারের কাহিনি ভুয়া আর সঙ্গে সঙ্গে এরা নিউজ কাভার করে দিল! ইয়েলো জার্নালিজম জিনিসটাই এটা, হোক্সকে সত্য কাহিনি বলে প্রচার করা আর সত্যকে হোক্স বলা৷''

নুরুদ্দিন আহমেদ বাপ্পি এই বিষয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘রেশমা ইস্যুতে দলীয় আনুগত্যের বাইরে এসে সত্য জানার আগ্রহ নিয়ে বসতে পারলে ভালো হতো৷ যদি এইটা বিম্পি জামাতের প্রোপাগান্ডা হয়ে থাকে তাইলে তারা শতভাগ সফল৷ আমজনতা এইটা নিয়ে কথা বলছে + বলবে৷''

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সোমবার ডেইলি মিররের প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে৷ এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী ডেইলি মিররের প্রতিবেদনকে ‘‘বিভ্রান্তিকর, হঠকারী এবং কল্পিত'' আখ্যা দিয়েছে৷ ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি চেষ্টা করেও এই বিষয়ে রেশমার কোনো মন্তব্য পায়নি৷

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য