ফেসবুক আলোচনায় রেশমা
১৫ মে ২০১৩জার্মানির ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের ফেসবুক পাতার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় চল্লিশ হাজার৷ প্রতিনিয়িত এই সংখ্যা বাড়ছে৷ এই ফেসবুক পাতাতেই এক চমৎকার তথ্য জানালেন শাহিন মাহমুদ৷ রেশমাকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মন্তব্যের ঘরে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার বড় বোন সাভার ট্র্যাজেডির একজন ভুক্তভোগী এবং ভবন ধসের ৪৪ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়৷ তিনি রানা প্লাজার একটি পোশাক কারখানায় ছয় মাস কাজ করেছেন৷ তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, রানা প্লাজার দ্বিতীয় তলায় কিছু কাপড়ের এবং খাবারের দোকান ছিল৷ তিনি আরোও নিশ্চিত করেছেন, রেশমা যে পোশাক পড়ে শুক্রবার ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়েছে, সেটি কাপড়ের দোকানের পোশাক৷''
নিজের মন্তব্যের সঙ্গে ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার একটি লিংকও যোগ করেছেন শাহিন মাহমুদ৷ লিংকটিতে সাবিহা সুলতানা মুক্তার একটি সাক্ষাৎকার রয়েছে৷ সাভারে ধসে পড়া ভবনে দু'দিন আটকে ছিলেন এই নারী৷ পরবর্তীতে উদ্ধারকর্মীরা তাঁকে বের করে আনেন৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় রেশমার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন আরো অনেক পাঠক৷ তাঁকে উদ্ধার নিয়ে যারা সন্দেহ দেখান কিংবা ‘নাটকের গন্ধ' খুঁজেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে তৈবুর রহমান লিখেছেন, ‘‘যারা সত্যকে দেখতে পান না তাদের সত্য পথ দেখাবে কে? নাটক করা যাদের অভ্যাস তারা তো গন্ধ খুঁজবেন৷'' একই বিষয়ে চৈতালী সরকার মন্তব্য করেছেন, ‘‘হয়ত রেশমার শরীরে প্রাণ না, আমরা ছিন্নভিন্ন পোশাকের ফাঁকফোকর দিয়ে ওর শরীর দেখতে চেয়েছিলাম... ছিঃ৷''
নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে ফেসবুকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন শাহিন সরকার৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘এখন এটা নিয়ে কিছু বলতে চাইনা৷ এতে মিথ্যা থাকলে তা একদিন আপনা থেকেই প্রকাশ পাবে৷ রেশমা বেঁচে থাকুক এটাই কামনা৷''
উল্লেখ্য, শুক্রবার উদ্ধারের পর থেকে সাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন রেশমা৷ এই তরুণীর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷