রেশমার কাপড় নিয়ে প্রশ্ন
১৪ মে ২০১৩ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে রেশমাকে ১৭ দিন পর উদ্ধারের খবর গত সপ্তাহে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রকাশ করা হয় তাঁকে জীবিত উদ্ধারের খবর৷ মূলধারার গণমাধ্যমের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ফেসবুকেও রেশমাকে উদ্ধারের খবর নিয়ে শুরু হয় বিস্তর আলোচনা৷
এই আলোচনা এখনো অব্যাহত রয়েছে৷ কেউ কেউ রেশমাকে উদ্ধারের পুরো ঘটনাটি দেখছেন সন্দেহের চোখে৷ বিশেষ করে তাঁকে উদ্ধারের পরপরই উদ্ধারকর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকের করা কিছু প্রশ্ন নিয়ে এখনও চলছে বিতর্ক৷ আমার ব্লগ ডটকমে এই বিষয়ে ব্লগার ইফতেখার মোহাম্মদ লিখেছেন, ‘‘যে মেয়েটি শুধু মৃত্যুকূপ থেকে রক্ষা পাবার জন্য নিজের মাথার চুল কেটে ফেলেছিল৷ আলো ছাড়া, জীবনের আশা ছাড়া বিভীষিকাময় একটা পরিস্থিতি থেকে শুধুই বেঁচে থাকার এক অদম্য প্রচেষ্টার ফলে যে মৃত্যুকে পরাজিত করে আমাদের মাঝে ফিরে এলো, সেই মেয়েটিকে নিয়ে প্রশ্ন!''
রেশমাকে শুক্রবার বিকেলে উদ্ধার করা পর যে বিষয়টি নিয়ে একজন সাংবাদিক এবং কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ও ব্লগারের সন্দেহ, সেটি হচ্ছে তাঁর পোশাক৷ তাঁদের প্রশ্ন, ১৭ দিন ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা একজন মানুষের পোশাক এত পরিষ্কার হয় কি করে? মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা রেশমা নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন৷ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘‘তাঁরা (উদ্ধারকর্মীরা) একটি ছোট টর্চ লাইট দেন৷ সেই টর্চের আলোতে দেখি আমি যেখানে আছি, তা একটা কাপড়ের দোকান৷ হামাগুড়ি দেয়ার সময় আমার কাপড়গুলো ছিড়ে গিয়েছিল৷ বেরিয়ে আসার আগে কাপড় পাল্টে ফেলি৷'' বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রকাশ করেছে এই খবর৷
রেশমার পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলার সমালোচনা করেছেন অনেকে৷ ব্লগার ইফতেখার মোহাম্মদ তাঁর নিবন্ধে রেশমাকে উদ্ধার নিয়ে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘রেশমা বেঁচে ফিরেছেন, এটা কি তাঁর অপরাধ?? নিঃসন্দেহে না!''
উল্লেখ্য, শুক্রবার উদ্ধারের পর থেকে সাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন রেশমা৷ এই তরুণীর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷