স্বপ্নের ভরাডুবি
১ নভেম্বর ২০১২পাচারকারী চক্র শনিবার মানে ঈদের দিন রাতে টেকনাফের কাটাবুনিয়া ঘাট থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় বা ট্রলারে করে এই হতভাগ্যদের মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রওয়ানা হয়৷ মধ্য রাতের পর কোনো এক সময় তাঁদের ট্রলারটি ডুবে যায়৷ ট্রলারে মোট ১২৮ জন যাত্রী ছিলেন৷ প্রাণে বেঁচে যাওয়া আবুবকর সিদ্দিক নামে একজন জানিয়েছেন যে, তিনিসহ ছয়জন কোনোভাবে উপকূলে ফিরতে পেরেছেন৷ আর ১২২ জন ফিরতে পারেননি৷ যা ডয়চে ভেলেকে জানান বিজিবি'র টেকনাফ এলাকার কমান্ডর লে. কর্নেল মো. জাহিদ হাসান৷ তিনি জানান, এখনো তাঁদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি৷
দালালচক্র তাঁদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছিল৷ বলেছিল, গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজ অপেক্ষা করছে৷ ঐ জাহাজে করেই তাঁদের মালয়েশিয়া পাঠানো হবে৷
এদিকে, টেকনাফ থানায় নয়জন দালালকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে৷ তাঁদের কাউকে এখনো আটক করা যায়নি৷ তবে অপর একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে পাঁচজন মিয়ানমারের নাগিরক বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
নিখোঁজ ১২২ জনের সবাই টেকনাফের সাবরাং এলাকার বাসিন্দা৷ সেখানে চলছে শোকের মাতম৷
আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ, তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে খোঁজাখুঁজি করলেও প্রসাশন তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ কেউ কেউ দাবি করছেন যে, তাঁরা সমুদ্রে লাশ দেখেছেন৷ কিন্তু তাঁদের আত্মীয়স্বজনের লাশ না হওয়ায় তাঁরা সেই লাশগুলো আনেন নি৷ তাঁরা জানান, এই দালাল চক্র কম টাকায় মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রতারণা চালিয়ে আসছিল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ