জাহাজ চলাচল
৪ মে ২০১২একারণেই প্রতি বছর নৌ দুর্ঘটনায় শত শত যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে৷
গত ১২ই মার্চ রাতে মুন্সিগঞ্জের মেঘনা নদীতে শরিয়তপুর-১ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে গিয়ে ১৪৭ জন যাত্রী নিহত হন৷ ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিটি-১ নামের আরেকটি পণ্যবোঝাই জাহাজ ধাক্কা দেয়ায় লঞ্চটি ডুবে গিয়েছিল৷ নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান জানিয়েছেন, তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে লঞ্চ এবং জাহাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ গ্রেফতার করা হয়েছে মালিক এবং কর্মচারীদের৷
কিন্তু বুয়েটের নেভাল আর্কিটেকচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদ করিম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ নৌপথের অধিকাংশ জাহাজই চলাচলের উপযোগী নয়৷ তাদের নকশা আর বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই৷ নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয় বাস্তবে জাহাজ বা লঞ্চ না দেখেই চলাচলের অনুমতি দেয়৷ তিনি বলেন, এই জাহাজগুলোর ভারসাম্য রাখার ক্ষমতা নেই বললেই চলে৷ তাই কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোন কারণে ধাক্কা লাগলে লঞ্চ ডুবে যায়৷
আর এই লঞ্চের চালকরাও দক্ষ নয়৷ এগুলো চালায় হেলপার বা সুকানীরা , মাষ্টাররা চালায় না৷ ফলে দুর্ঘটনা আরো ত্বরান্বিত হয়৷ নেই কোন মনিটরিং ব্যবস্থা৷
এই নৌযান বিশেষজ্ঞ জানান, লঞ্চের রুট পারমিট বা লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে যদি সঠিক নিয়ম মানা হয়, তাহলে নৌ দুর্ঘটনা কমে আসবে৷ বাড়াতে হবে মনিটরিং৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন