বার্লিনে সালাফিস্ট সন্ত্রাসী অনেক বেড়েছে
১৮ জানুয়ারি ২০১৮বিএফভি বলছে, বর্তমানে বার্লিনে প্রায় সাড়ে নয়শ' সালাফিস্ট সন্ত্রাসী রয়েছে৷ এই ব্যক্তিদের বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, কারণ, এরা যে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে৷ ২০১১ সালে এমন সালাফিস্ট ছিল ৪২০ জন৷ সাড়ে নয়শ' সালাফিস্ট সন্ত্রাসীর মধ্যে অর্ধেকই জার্মান নাগরিক৷ এদের মধ্যে মাত্র এক তৃতীয়াংশের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে৷ আর বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে রাশিয়ার নাগরিক৷ এদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বয়স গড়ে ৩৪ বছর৷ নারীদের গড় বয়স ৩৩ বছর৷
বার্লিনে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরদার
২০১৬ সালে বার্লিনে ক্রিসমাস মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে জার্মান কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করেছে৷ এরমধ্যে অন্যতম হলো মৌলবাদের বিস্তার রোধ করা৷ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, গত বছর বার্লিনে মসজিদ অ্যাসোসিয়েশন ‘ফুসিলেট ৩৩' বন্ধ করে দেয়া৷ এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এদের সঙ্গে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এর যোগাযোগ রয়েছে৷ কর্তৃপক্ষের ধারণা, এই সংগঠনের দ্বারা পরিচালিত মসজিদগুলো মৌলবাদী ইসলামপন্থিদের বৈঠকের অন্যতম স্থান ছিল৷ ক্রিসমাস মার্কেটে হামলার সাথে জড়িত প্রধান সন্দেহভাজন আনিস আমরি এই সংগঠন পরিচালিত মসজিদে যাতায়াত করতো৷
জার্মান কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সদস্যদের মধ্যে ৭০৫ জনকে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ বিএফভি বলছে, সালাফিস্ট আন্দোলনের সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা এখন জনপথ ও মসজিদ ছেড়ে ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকেছে৷ সালাফিস্ট মতাদর্শ থেকে ইসলামপন্থি সন্ত্রাস জন্ম নেয় বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা৷
বিএফভি জানিয়েছে যে, ইন্টারনেটে ছোট ছোট গোপনীয় গোষ্ঠীর মাধ্যমে নবাগতদের মৌলবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে৷
নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে সালাফিস্ট আন্দোলন তরুণ মুসলিমদের জন্য ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদে উত্তরণের পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে৷ উত্তর ককেশাস থেকে আগত ইসলামপন্থিরা প্রধানত ব্রান্ডেনবুর্গ ও বার্লিনের মতো পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতেই আস্তানা গেড়েছে বলে বিএফভি জানিয়েছে৷
এপিবি/এসিবি (এপি, ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)