বাংলাদেশে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩শনিবার সকালে দু'দিনের সফরে ঢাকা এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ৷ তিনি অংশ নেন দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক বৈঠকে৷ বৈঠক শেষে দু' দেশের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন স্থাপনসহ তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়৷
পরে সংবাদ সম্মেলনে শাহবাগের তরুণদের গণজাগরণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সালমান খুরশিদ বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মধ্যে দাবি আদায়ে তরুণদের অংশগ্রহণকে তিনি সমর্থন করেন৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা যে জাগরণ সৃষ্টি করেছে, তা অভিনন্দনযোগ্য৷ তারা পুরো জাতিকে তাদের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ করেছে৷
সাংবাদিকরা এরপরই প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে৷ তাঁরা জানতে চান, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের অবস্থান৷ জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে দেশের মানুষের চাওয়াকে অবশ্যই গুরুত্ব দেবে সরকার৷
সংবাদ সম্মেলনে সালমান খুরশিদ জানান, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া ভারতের সংসদ অধিবেশনে ১৯৭৪-এর সীমান্ত প্রোটোকল পাশ হবে৷ তবে তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কথাই বললেন৷ বললেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে তিনি সম্মান করবেন বলেই তাদের আশা৷
এছাড়া বাংলাদেশের জন্য ছাড় করা ২০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার তার এ সফরেই ছাড় দেওয়া হবে বলে জানান সালমান খুরশিদ৷ রোববার তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা৷