বাংলাদেশের একমাত্র পপস্টার ড. ইউনূস: ভির্টশাফ্টসভখে
৩০ জানুয়ারি ২০১১‘ভির্টশাফ্টসভখে' ড. ইউনূসকে বাংলাদেশের একমাত্র পপস্টার আখ্যা দিয়ে সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রে ড. ইউনূসের সঙ্গে জার্মানির বিএএসএফ, আডিডাস, অটো বা ফ্রান্সের ডানন'এর মতো শিল্প প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার উল্লেখ করে লিখেছে, এই সব প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা এই তারকার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মুগ্ধ হয়েছেন৷ গত বছরও সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনীতি সম্মেলনে ড. ইউনূসকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো৷ দেশে চলমান বিতর্কের ফলে এবারে তিনি শেষ মুহূর্তে ডাভোস যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন৷ মনে হচ্ছে, তিনি কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছেন৷
শুধু ক্ষুদ্র ঋণ নয়, সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ মুনাফা রেখেও কীভাবে দরিদ্র মানুষের কাছে সস্তায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া যায়, সেটাই এই সামাজিক ব্যবসার লক্ষ্য৷ যেমন বিএএসএফ বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের জন্য বিশেষ ধরণের মশারি তৈরি করতে চলেছে৷ ডানন বগুড়ার কাছে একটি উৎপাদন কেন্দ্রে ‘শক্তি দই' নামের পুষ্টিকর উপাদান সমৃদ্ধ দই বিক্রির কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষদের কাছে এক ডলার মূল্যের সস্তার জুতো বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছে আডিডাস৷
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এই সব প্রকল্প রূপায়ণ করা মোটেই সহজ নয়৷ যেমন ডানন বাংলাদেশের বাজার সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে আসরে নেমেছিল৷ বিশ্বের বাজারে দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রাথমিক হিসেবও কাজ করে নি৷ তাছাড়া ড. ইউনূস প্রথমে সরকারি কাজে লাল ফিতের ফাঁসের বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় বাকিদেরও সমস্যা হচ্ছে৷ আডিডাসকে বাংলাদেশে উচ্চ হারে শুল্ক দিতে হওয়ায় মুনাফা আর থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ বিএএসফ সরকারি অনুমোদন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ করছে৷ মোটকথা একাধিক কারণে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হচ্ছে, যদিও চলতি বছরেই প্রকল্পগুলি রূপায়ণের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে বাংলাদেশের মতো বাজারের হালচাল বুঝতে যে কিছুটা সময় লাগবে, সেটা তারা মোটামুটি স্বীকার করে নিয়েছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক