ফেঁসে যেতে পারেন জ্যাকসনের চিকিৎসক
২৮ জুলাই ২০০৯তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বেসরকারি মার্কিন টেলিভিশন সিএনএন বলছে, মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা আগে প্রয়াত পপ কিং মারের দেওয়া শক্তিশালী প্রপোফল ওষুধ নিয়েছিলেন৷ এবং ওই ওষুধই তাঁর জীবন কেড়ে নিয়েছে৷
সূত্রটি সিএনএনকে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ মনে করছে প্রপোফলই মাইকেল জ্যাকসনের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ৷ এর একটি ব্র্যান্ড ডিপ্রিভ্যান নিয়েছিলেন জ্যাকসন৷ তবে টেক্সাস ভিত্তিক এই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের আইনজীবীরা এই খবরকে গুজব ও বেনামী সূত্রের অ্যাখ্যা দিয়ে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন৷ আইনজীবীরা বলছেন, মারে পপ তারকাকে এমন কোনো ওষুধ দেননি যাতে তাঁর মৃত্যু ঘটতে পারে৷
২৫ জুন জ্যাকসনের মৃত্যুর সময় মারে তাঁর লস এঞ্জেলেসের বাড়িতে ছিলেন৷ আদালতের নথিপত্র থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ মারের হিউস্টনের কার্যালয় ও স্টোরেজে জীবনবিনাশী জিনিসপত্রের জন্য তল্লাশি চালায়৷
সেখান থেকে তারা মারের কম্পিউটার ও বেশ ওষুধপথ্য নিয়ে এসেছে৷ তাঁর আইনজীবীরাও এসময় সেখানে ছিলেন৷ একজন আইনজীবী বলছেন, আমরা এ ঘটনায় খুবই বিস্মিত হয়েছি৷ কেননা তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ সার্বক্ষণিকই রয়েছে৷
পুলিশ ইতিমধ্যে মারেকে দুই দুইবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷ ২৪ জুলাই তাঁকে আরেকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও এই তল্লাশির কারণে তা স্থগিত করা হয়৷ কবে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা জানানো হয়নি৷
মাইকেল জ্যাকসনের পুষ্টিবিদ চেরিলিন লি প্রথমবারের মতো জানিয়েছিলেন যে, মারাত্নক প্রভাবের কথা জেনেও প্রয়াত পপ তারকা হয়তো প্রপোফল নিয়ে থাকতে পারেন৷
২৫ জুন মাত্র ৫০ বছর বয়সে জ্যাকসনের মৃত্যুর পর এ নিয়ে তদন্ত চলছে৷ তদন্তের জন্য অতি প্রয়োজনীয় টক্সিকোলজি পরীক্ষার ফল এখনও আসেনি৷ এ সপ্তাহেই চূড়ান্ত ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷
প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার