1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কড়া ঘুমের ওষুধই কি মাইকেলের মৃত্যুর কারণ

১ জুলাই ২০০৯

সদ্যপ্রয়াত পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের মরদেহ প্রদর্শনের জন্য তার নেভারল্যান্ড ব়্যাঞ্চে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/If0y
ছবি: AP

এদিকে পপ সম্রাটের আকস্মিক মৃত্যুর কারণ নিয়ে নানা জল্পনায় নতুন খোরাক যুগিয়েছেন নিজেকে তাঁর সাবেক সেবিকা পরিচয় দেওয়া চেরিলিন লি নামের এক পুষ্টিবিদ৷

কয়েকটি সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, মৃত্যুর পর জ্যাকসনের ভাড়া করা বাড়িটি থেকে প্রপোপল গোত্রের অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার ঘুমের ওষুধ পাওয়া গেছে৷ বিপজ্জনক বলে চিকিৎসক ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছাড়া অন্য কারো হাতে এ ওষুধ দেওয়া হয় না৷

চেরিলিন লি দাবি করছেন, জ্যাকসন তাঁর কাছে ডিপ্রিভ্যান নামের ওই গোত্রের ওষুধ চেয়েছিলেন৷ মৃত্যুর চারদিন আগে প্রয়াত পপ তারকার ব্যক্তিগত সহকারীরা লির কাছে ওষুধটি চাইলে তিনি তা দেননি বলে জানিয়েছেন৷

Bildergalerie Michael Jackson
জ্যাকসন, ১৯৭২ছবি: AP

তাঁর দাবি, ওষুধটির বিপদ সম্পর্কে জ্যাকসনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি৷ তিনি এও বলেছেন, কখনও শিল্পীকে এ ওষুধ খেতে দেখেননি তিনি৷

লি জানান, মৃত্যুর চারদিন আগে জ্যাকসনের এক ব্যক্তিগত সহকারীর ফোন পান তিনি৷ ওই সহকারী তাকে বলেন, শিল্পী দেহের একপাশে শীত ও অন্যপাশে উষ্ণবোধ করছেন৷ সেসময় জ্যাকসনকে বলতে শোনা যায়, ওকে আমাকে দেখতে আসতে বলো৷ও কি পারবে আসতে এখন? তখনই নাকি লি তাঁর সহকারীদের বলেছিলেন জ্যাকসনকে হাসপাতালে পাঠাতে৷ তখনই তাঁর ভয় হয়েছিল, শিল্পীর হয়তো স্নায়ু কিংবা হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা হচ্ছে৷ তিন মাস আগে জ্যাকসনের সঙ্গে লির কথা হয়৷ অর্থ নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তাঁর সঙ্গে আর কাজ করেননি লি৷কোন চিকিৎসক এ ওষুধ দিয়েছে জানতে চাইলে কারো নাম না বলে জ্যাকসন জানান, বহু আগে থেকে এ ওষুধ নিচ্ছেন৷

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ মেডিসিন এর শিক্ষক ড. রাকেশ মারওয়া বলেন, প্রপোপল হৃদরোগের কারণ হতে পারে৷এই ওষুধটি হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসসহ শারীরিক অনেক কার্যক্রম শ্লথ করে দেয়৷

লির দাবি, জ্যাকসন যখন একটু ঘুমানোর জন্য খুব করে ওষুধটি চেয়েছিলেন তখনই তিনি নাকি বলেছিলেন, এটি খেলে তুমি আর জাগতে পারবে না৷

Bildergalerie Michael Jackson
জ্যাকসন, ১৯৮৪ছবি: AP

এ ব্যাপারে জ্যাকসন পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওষুধ খেতে না দেখে এরকম মন্তব্য করার কারণ তারা বুঝতে পারছে না৷

এদিকে মৃত্যুর পাঁচ দিন পরও দুনিয়া জুড়ে মুহ্যমান জ্যাকসন ভক্তদের শোক কাটছে না৷ তাঁর মরদেহ বৃহস্পতিবার নিয়ে যাওয়া হবে নেভারল্যান্ডে৷ এজন্য আগে থেকে প্রস্তুত ৩০টি গাড়ির বহর৷ সব ধরণের নিরাপত্তা নেওয়া হলেও এখনো নেভারল্যান্ডের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক কিছু না জানলেও সব প্রস্তুতিই তাদের রয়েছে৷

জ্যাকসন পরিবার শুক্রবার এখানেই তাঁর মরদেহ সবার দেখার জন্য উন্মুক্ত রাখবে৷ রবিবার এখানেই পারিবারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে স্মরণ অনুষ্ঠান৷ এ থেকে ইঙ্গিত মিলছে প্রয়াত পপ সম্রাটকে হয়তো এখানেই সমাহিত করা হতে পারে৷ ভক্তরাও চায় তেমনটি৷ তারা চায় সেখানে এলভিস প্রেসলির মতো সমাধি সৌধ হোক৷ যাই-ই হোক নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কোনোটিই৷

প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান