1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রশ্নপত্র ফাঁসের পরিণাম

১ অক্টোবর ২০১৫

ঢাকায় বিক্ষোভ করছে মেডিকেলে ভর্তি ইচ্ছুক একদল শিক্ষার্থী৷ তাদের অভিযোগ ঐ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে৷ বুধবার তাদের কয়েকজনকে পুলিশ পিটিয়েছে৷ সেই ছবি ঘুরছে ফেসবুক ও টুইটারর মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷

https://p.dw.com/p/1GgQG
Indien Christ Church Scool
ছবি: Nurunnahar Sattar

এমবি মাশ এরকম একটি ছবি প্রকাশ করে পুলিশের এরকম আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন৷

শুধুমাত্র নিরপেক্ষ ভর্তি পরীক্ষা চাওয়ায় শিক্ষার্থীদের এভাবে পেটানোয় অবাক সাব্বির হোসেনও৷

বাংলাদেশে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা থেকে শুরু করে সরকারি চাকরি পাওয়া পর্যন্ত প্রায় সব পর্যায়েই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে আসছে৷ এর পরিণতি নিয়ে চিন্তিত অনেকে৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম গত বছর প্রথম আলোতে এ বিষয়ে একটি মতামতধর্মী লেখা লিখেছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ফাঁস হওয়ার ব্যাপারটা যে আমাদের শিক্ষা-দর্শনের গলাতেই ফাঁস পরিয়ে এর দফারফা করছে, তা আমরা খেয়াল করছি না৷'' বিএনপি সরকারের আমলে মন্ত্রীর উদ্যোগের কারণে নকল বন্ধ করা গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাইলে বর্তমান সরকারও প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে পারেন৷ তাঁর এই মতামত টুইটারে শেয়ার করেন ইদ্রিস হোসেইন৷

এদিকে, এই সমস্যার সমাধান অসম্ভব কিছু নয় বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি অধ্যাপক আলী রীয়াজ৷ কথকতা শীর্ষক ব্লগে প্রকাশিত তাঁর একটি ব্লগপোস্টে তিনি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে লেখেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘এসব সমস্যা সমাধানের অযোগ্য কোনো কিছু না; সারা পৃথিবীতে পরীক্ষার গোপনীয়তা রক্ষার জন্যে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা চালু আছে৷ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে পরিচিত নয় তাও নয়৷ এ-লেভেল, ও-লেভেল, স্যাট, টোয়েফেল, জিআরই পরীক্ষা দিচ্ছেন৷ সেগুলো থেকেই বোঝা যায় যে এটা বাংলাদেশেও সম্ভব৷ কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো সমাধান চাইছি কিনা৷'' অধ্যাপক আলী রীয়াজ তাঁর ব্লগে প্রশ্নটির উত্তরও খোঁজার চেষ্টা করেছেন৷ কয়েকদিন আগে প্রকাশিত এই ব্লগটি আজ (বৃহস্পতিবার) আবার নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেন তিনি৷ সঙ্গে জুড়ে দেন শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার কয়েকটি ছবি৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগকে গুজব ও ভিত্তিহীন হিসেবে দাবি করেছে৷

এর আগেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীরা৷ তাঁদের এই আচরণ সম্পর্কে আনিসুল হক গত বছর লিখেছিলেন, ‘‘আমাদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে মন্ত্রী, কর্মকর্তারা একদম মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মতো আচরণ করছেন৷ তাঁরা ডিনায়াল সিনড্রোমে ভুগছেন৷ তাঁরা খুব সুন্দর বিশ্বাসযোগ্যভাবে বলছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি৷ এটা কতিপয় দুষ্টুলোকের মিথ্যা অপপ্রচার৷''

প্রশ্নপত্র ফাঁসের পরিণাম নিয়ে চিন্তিত মোহাম্মদ মুনির হোসেইন৷ ইংরেজি দৈনিক অবজারভারে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে জাতি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দুর্বল ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবে৷''

একই বিষয়ে একটি কার্টুন টুইট করেছেন রেজওয়ান৷

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান