হল দখল নিয়ে তোলপাড়
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ সামহয়্যার ইন ব্লগে কৌশিকের নিবন্ধের শিরোনাম, ‘‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহ কারা দখল করে রেখেছে? কি তাদের পরিচয়? প্রশাসনের টনক নড়বে কবে?''
এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না, কোনোভাবেই বুঝতে পারছি না যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা হল উদ্ধার করার জন্য কেনো ছাত্রদের রাস্তায় নামার প্রয়োজন পড়ে? কেনই বা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বেদখল হয়, কিভাবে হয়েছিল? কারা করেছিল?''
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনও নিজের নিবন্ধে যোগ করেছেন কৌশিক৷ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো কারা, কবে, কিভাবে দখল করেছে তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে এই প্রতিবেদনে৷ কৌশিক লিখেছেন, ‘‘এত প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থাসমূহের দখলে থাকায় ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন ছাড়া কোন উপায় নেই হয়ত৷ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রোববার পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় ওই হলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ৷ পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলে এক শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন৷''
এদিকে, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক নামক একটি ফেসবুক পাতা থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিভিন্ন হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে৷ দৈনিক প্রথম আলোর বরাতে বুধবার পাতাটি থেকে জানানো হয়, ‘‘তিব্বত হলসহ বেদখলে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি হল যত দ্রুত সম্ভব সরকার উদ্ধার করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ৷''
ছাত্র আন্দোলনের আহতদের ছবিও প্রকাশ করা হচ্ছে এই ফেসবুক পাতায়৷ ইতোমধ্যে তাদের অনুসারীর সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে৷ মঙ্গলবার এক পোস্টে পাতাটি থেকে জানানো হয়, ‘‘ক্যাম্পাসে চলে আসুন সবাই৷ দরকার হলে আজকে থেকেই আমরা অনির্দিষ্টকাল ক্যাম্পাসে অবস্থান করব৷ আমাদের হল ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে৷ ঘরে বসে শুধু ফেসবুকে লাইক দিলেই আন্দোলন সফল হবে না৷ সবার মতো আপনাকেও উপস্থিত হয়ে আন্দোলন চালাতে হবে৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক