1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিশ্রুতি ছিল কিন্তু সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই মিয়ানমারে

২০ সেপ্টেম্বর ২০১১

মিয়ানমার৷ এশিয়ার এইদেশটিতেই সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি বিপন্ন৷ বিশেষ করে তাঁদের কাজকর্মের ওপর কড়া নজরদারি চলছে সবদিক থেকে৷ ব্যাপক সংস্কার ছাড়া কোন বিকল্প নেই৷

https://p.dw.com/p/12csu
Myanmar Aung San Suu Kyi
মিয়ানমারের নোবেলজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিছবি: dapd

গণতান্ত্রিক সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল সর্বশেষ নির্বাচনের আগে থেকে৷ শোনা গিয়েছিল, সামরিক শাসন প্রকারান্তরে বহাল থাকলেও সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকের স্বাধীনতা, যা কিনা গণতন্ত্রের প্রধান দুই স্তম্ভ, তা বজায় রাখা হবে৷ অথচ কাজের বেলায় দেখায় যাচ্ছে, সেসব কেবলই কথার কথা ছিল৷ কাজ হয়নি প্রায় কিছুই৷ এ তথ্য জানাচ্ছে দ্য কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট্স, তাদের সর্বশেষ সমীক্ষা রিপোর্টে৷ রিপোর্ট বলছে, মিয়ানমার এমন একটি দেশ, যেখানে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকের প্রায় কোনরকমের স্বাধীনতাই নেই৷ প্রতিটি সাংবাদিকের প্রত্যেকটি টেলিফোন কল থেকে শুরু করে, তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রতিটি নড়াচড়া মিয়ানমারে নজরদারি চালানো হয়ে থাকে৷ এখানেই শেষ নয়, যে সমস্ত সংবাদমাধ্যম বা মিডিয়া সেদেশে রয়েছে, তাদের যাবতীয় সংবাদ এক বিশেষ সরকারি নজরদারি আর সম্পাদনার মধ্য দিয়ে যায়৷ এবং সেই পদ্ধতি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ৷ যার ফলে বহুক্ষেত্রেই সংবাদপত্রগুলি দৈনিক তাদের সংস্করণ প্রকাশ করতে পারেনা৷ লেগে যায় একটা গোটা সপ্তাহ৷

অথচ দীর্ঘ প্রায় অর্দ্ধশতাব্দীর সামরিক শাসনের পর গত বছরের শেষদিকে মিয়ানমারের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিদের সরকার গঠিত হওয়ার পর নতুন প্রেসিডেন্ট তাইন সেন তাঁর প্রথম ভাষণেই সংবাদপত্র এবং বার্তা মাধ্যমের স্বাধীনতার মাধ্যমে এক নতুন দেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ অথচ কার্যক্ষেত্রে যে সেসব হচ্ছে না, তার প্রমাণ দাখিল করেছে দ্য কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট্স, তাদের রিপোর্টে৷

A supporter of Myanmar's detained opposition leader Aung San Suu Kyi cheers to photographers at the headquarters of her National League for Democracy (NLD) Saturday, Nov. 13, 2010 in Yangon, Myanmar. Suu Kyi's supporters gathered near her home and at her party's headquarters Saturday, hoping to see the Nobel Peace Prize laureate taste freedom after seven years of detention by Myanmar's ruling generals. (AP Photo/Khin Maung Win)
এশিয়ার এইদেশটিতেই নাকি সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি বিপন্নছবি: AP

রিপোর্টে সিপিজে আরও জানাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট তাইন সেনের নতুন শাসনব্যবস্থায় বরং সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার, তাদের জেলে ভরা এবং তাদের ওপর নজরদারির পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়ে গেছে৷ আর এসব খবর সিপিজে জানতে পেরেছে, মিয়ানমারের থেকে পালিয়ে যাওয়া বেশ কিছু সংবাদকর্মীর কাছ থেকে৷ পাশপাশি, দেশের অভ্যন্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সাংবাদিকও সিপিজে'কে তাঁদের চরম পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন গোপনে৷

সিপিজে আরও জানাচ্ছে, গত নির্বাচনে মিয়ানমারের নোবেলজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি'কে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি৷ যে নির্বাচন হয়েছিল, তাকে কোনভাবেই অবাধ ও মুক্ত বলা যায়না৷ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী৷ কিন্তু তারপর থেকে সাংবাদপত্রের স্বাধীনতার যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, এখন তাও আর নেই৷ পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক এবং অগ্রহণযোগ্য বলেই মনে করছে এই আন্তর্জাতিক সংগঠনটি৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য