সমুদ্রসীমা বিরোধ মামলায় সুফল পাবে বাংলাদেশ: পর্যবেক্ষক
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১আর তাই যদি হয় তাহলে ভারতের সঙ্গে মামলায় লড়া সহজ হবে৷ আর এই মামলার নিস্পত্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ামনমার ও ভারতের সমুদ্রসীমা নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে তার অবসান হবে৷
বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার ও ভারতের সমুদ্রসীমা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় নব্বই-এর দশকের শুরুতে৷ বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরে গভীর ও অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে এই বিরোধের সূত্রপাত৷ ভারতে গভীর সমুদ্রে এবং মিয়ানমার অহভীর সমুদ্রের সীমানা নিয়ে এই দ্বন্দ্ব৷ এর আগে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের সমুদ্রসীমা আইন অনুযায়ী সমুদ্রসীমায় তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে৷ সমুদ্রসীমা এবং আন্তর্জাতিক নদী বিশেষজ্ঞ ও ইন্সটিউট অব ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক ডয়চে ভেলেকে জানান, এই বিরোধে বাংলাদেশ তার ন্যায্য অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন আদালতে গিয়েছে৷ বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগ অত্যন্ত যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে৷
তিনি জানান, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনে বাংলাদেশ, ভারত এবং মিয়ানমার ৩টি দেশই সই করেছে৷ বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে এই আইনি লড়াইয়ে জিতবে বলে তার আশা৷
প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক জানান, জার্মানির হামবুর্গে ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইবুন্যাল ফর দ্য ল অব দ্য সি'-এ চলতি মাসেই মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের শুনানি শেষ হবে৷ আর রায় পেতে ৩/৪ মাসের বেশি সময় লাগবেনা৷ এরপর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমার ও ভারতের বিরোধ নিস্পত্তি হয়ে গেলে তা হবে অনেক ভাল৷ আর এতে প্রতিটি দেশই তার নিজ নিজ সমুদ্রসীমায় তার বাণিজ্যিক কাজ করতে পারবে নির্বিঘ্নে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক